ত্রিপুরায় রেশন সামগ্রী এবং পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে : খাদ্য মন্ত্রী

আগরতলা, ২৯ মার্চ (হি. স.) : ত্রিপুরায় রেশন সামগ্রী এবং পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এ-বিষয়ে ত্রিপুরাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সাথে তাঁর হুশিয়ারি, বর্ষার মরশুম আসছে। বেআইনিভাবে পণ্য মজুত করা হলে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরায় ২০৪৮টি রেশন শপের মধ্যে মহিলারা ২৯০টি, কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে ১৬৫টি এবং পুরুষরা ১৫৯৩টি পরিচালনা করছে। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় ৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৫৫টি রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে অন্ত্যোদয় কার্ড ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৪০টি, বিপিএল ভুক্ত ৪ লক্ষ ৯২ হাজার ২৯২টি, অন্ত্যোদয় ব্রু ২৮৮২টি এবং এপিএল ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৪১টি কার্ড রয়েছে। তাঁর দাবি, প্রত্যেককে সরবরাহে পর্যাপ্ত রেশন সামগ্রী মজুত রয়েছে।
এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় প্রতিদিন ৭৩০ মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে ৬৩ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। তাতে অনায়াসে ৮৭ দিন অতিবাহিত করা যাবে। সাথে তিনি যোগ করেন, গম প্রতিদিন ১০৬ মেট্রিক টন প্রয়োজন রয়েছে, মজুত আছে ৫৩৮৪ মেট্রিক টন। চিনি প্রতিদিন ৩২ মেট্রিক টন প্রয়োজন রয়েছে, মজুত আছে ৮৫৭ মেট্রিক টন। মসুর দল ৩২ মেট্রিক টন প্রয়োজন, রয়েছে ৬৭৬ মেট্রিক টন। লবণ ৬৭ মেট্রিক টন প্রয়োজন রয়েছে, আছে ১০০৭ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, পেট্রোল প্রতিদিন ২২০ কিলো লিটারের প্রয়োজন রয়েছে। সেই তুলনায় রয়েছে ১৫৬৪ কিলো লিটার। ডিজেল ৩৫০ কিলো লিটারের প্রয়োজন রয়েছে, আছে ১৯৩৭ কিলো লিটার। কেরোসিন ৭৭ কিলো লিটারের প্রয়োজন রয়েছে, আছে ৩৩১ কিলো লিটার। এছাড়া, রান্নার গ্যাস ১০ হাজার ৯২৫টি প্রতিদিন প্রয়োজন রয়েছে, আছে ৩৪ হাজার ৭৬২টি।
তাঁর কথায়, বর্ষার মরশুম আসছে, সেই সাথে নিত্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরির খবর মিলছে। তাঁর হুশিয়ারি, কালোবাজারিতে যুক্ত মজুতদাররা সতর্ক হোন। নিত্য পণ্যের বেআইনি মজুত করা হলে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, খাদ্য দফতরের এনফোর্সমেন্ট টিম সদা জাগ্রত রয়েছে।