পুষ্পবন্ত প্রাসাদে খুব শীঘ্রই জাতীয় স্তরের মিউজিয়ামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে : পর্যটন মন্ত্রী

আগরতলা, ২৯ মার্চ (হি. স.) : পুষ্পবন্ত প্রাসাদে খুব শীঘ্রই জাতীয় স্তরের মিউজিয়ামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ওই প্রাসাদকে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। আজ সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষায় রাজ্য সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেই বহু ইতিহাসের সাক্ষী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি ধন্য পুষ্পবন্ত প্রাসাদ পরিদর্শন করেছি। এই ঐতিহ্যবাহী ভবনকে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার।    
তাঁর দাবি, শুধুমাত্র জাতীয় স্তরের মিউজিয়ামই নয়, এখানে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফাইন আর্টস, সমকালীন আলোকচিত্র, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আর্কাইভ ইত্যাদিতে পুষ্ট করা হবে এই জাতীয় স্তরের মিউজিয়াম ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিকে। তার জন্য আলাদা গ্যালারিও করা হবে।
তিনি বলেন, যেকোনও প্রতিকূল  আবহাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা সম্পন্ন করে ভবনটি গড়ে তোলা হবে। পুরো মিউজিয়ামটি সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। তাঁর কথায়, পুষ্পবন্ত প্রাসাদকেই মিউজিয়াম হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত নানা কাজের নিদর্শন তুলে ধরা হবে। তাঁর মতে, পূর্বতন রাজভবন পুষ্পবন্ত প্রাসাদকে জাতীয় স্তরের মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার প্রাথমিক ভাবে ৪০.১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
তিনি বলেন, বহু ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করছে এই  পুষ্পবন্ত প্রাসাদ। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, এই প্রাসাদটি জাতীয় স্তরের মিউজিয়াম ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলে তা নিশ্চিতভাবে ত্রিপুরায় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হবে এবং শুরু হবে এক নতুন অধ্যায়ের।
এদিন পরিদর্শনে তাঁর সাথে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের নির্বাহী বাস্তুকার উত্তম পাল সহ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে সম্পৃক্ত এজেন্সির অন্যান্য প্রকৌশলী ও আধিকারিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *