বোলপুর, ২৮ মার্চ (হি. স.) : “দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতার মাটিতে এসে আমি অভিভূত”, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিয়ে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন গুরুদেবের বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি পরিদর্শক, এটা প্রাপ্তি।” ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনের কথা শুনতেন দ্রৌপদী মুর্মু, সেই স্মৃতিচারণও করেন তিনি৷
শান্তিনিকেতনে এসে প্রথমে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালায় যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত চেয়ারে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি৷ সংগ্রহশালায় কবিগুরুর ব্যবহৃত সামগ্রী, পাণ্ডুলিপি, আঁকা ছবি প্রভৃতি দেখেন। ভিজিটর বুকে নিজের মতামতও লেখেন রাষ্ট্রপতি। পরে বিশ্বভারতীর অন্যতম কলাভবন ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। কলাভবনে খোলা আকাশের নীচে নির্মিত ভাস্কর্যগুলি দেখেন তিনি৷ সেখান থেকে ছাতিমতলায় এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মু।
তারপর আম্রকুঞ্জের জহর বেদীতে সমাবর্তনে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রথা অনুযায়ী সপ্তপর্ণী (ছাতিম পাতা) তুলে দেন বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের হাতে। বিশ্বভারতীর তরফে রাষ্ট্রপতিকে গুরুদেবের একটি প্রতিকৃতি উপহার দেন উপাচার্য।
সমাবর্তনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সকল উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের আমার অভিবাদন। জীবনে সফল হও৷ আমি আপ্লুত বিশ্বের একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি পরিদর্শক৷ এটা আমার প্রাপ্তী৷ আমি গতকাল গুরুদেবের বাড়িও ঘুরে দেখেছি৷ দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতার মাটিতে এসে আমি খুশি৷”
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “আমি ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনের কথা শুনতাম। শুনতাম এখানে নাকি গাছের তলায় পড়াশোনা করানো হয়৷ গুরুদেবের সময় থেকেই চলে আসছে। আমি আজ নিজে দেখলাম সেই শান্তিনিকেতন। খুব আনন্দিত৷” এক কথায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর শিক্ষা ও পরিবেশের প্রসংশায় পঞ্চমুখ ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।