নয়াদিল্লি, ২০ মার্চ (হি.স.) : গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। সোমবার মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই সোমবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। আজ আদালতে ইডি জানিয়েছে, মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ হয়ে গিয়েছে। এই আবহে তাঁকে আর হেফাজতে চায়নি ইডি। এদিকে আজ আদালতে জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। তবে জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। এই আবহে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। জানা গিয়েছে, দিল্লির তিহাড় জেলে রাখা হবে মণীশকে।
সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পর আজই মণীশ কোঠারিকে তিহাড় জেলে স্থানান্তরিত করা হবে। মণীশের আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় বিচারপতি রঘুবীর সিংকে আবেদন করেছেন, তাঁর মক্কেল সুস্থ নয়। সম্প্রতি তাঁর জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই পর্যাপ্ত পথ্য মণীশকে যেন ঠিকমত দেওয়া হয়। বিচারক শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মণীশকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
ইডি সূত্রের খবর, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত। প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশকে জেরা করেই ইডি জানতে পারে যে সেই সংস্থা আদতে সুকন্যার এনএম অ্যাগ্রোকেম।
মণীশকে জেরা করে ইডি আরও জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এই পরিস্থিতিতে আজ অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। তবে আজ দিল্লিতে ইডির তলবে সাড়া দেননি সুকন্যা। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সুকন্যা বর্তমানে বোলপুরের বাড়িতে নেই। এই আবহে সুকন্যা কোথায় আছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দিল্লিতে আজ তলব করা হয়েছে সুকন্য়ার গাড়ির চালক তুফান মিদ্যাকে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় ঘোষ এবং অনুব্রতর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজককেও প্রশ্ন করার জন্য আসতে বলা হয়েছে ।