ব্যভিচারী স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিলেন স্ত্রী, নাবালিকা ধর্ষণে এক ব্যক্তির ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা

শান্তিরবাজার(ত্রিপুরা), ১৬ মার্চ (হি. স.) : ব্যভিচারী স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিলেন স্ত্রী। নিজ স্বামীর বিরুদ্ধেই নাবালিকা ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। ত্রিপুরায় ওই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত তাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে অতিরিক্ত দুই মাসের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। আজ দক্ষিণ জেলার জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক স্পেশাল জজ আশুতোষ পান্ডে ওই রায় দিয়েছেন। 

স্পেশাল পিপি আক্তার হুসেন মজুমদার আজ জানিয়েছেন, স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্বেও নাবালিকার সাথে স্বামী -স্ত্রীর মতোই সম্পর্ক রাখতে শুরু করেছিলেন শান্তিরবাজার মহকুমার জোলাইবাড়ি পশ্চিম পিলাক এলাকার বাসিন্দা প্রাণজিত বৈদ্য। তিনি দশ বছর আগে বিলোনিয়া মহকুমার যশমুড়া এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা মজুমদারের সাথে সামাজিক প্রথা মেনে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের আড়াই বছর তাঁদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁদের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির ফলে প্রাণজিত বৈদ্য এক নাবালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তাঁকে বাড়িতে এনে স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতে শুরু করেন। 

স্পেশাল পিপি বলেন, প্রথমে পারিবারিক সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে ওই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন সুস্মিতা মজুমদার। কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হওয়ার পর পরবর্তীতে বিলোনিয়া চাইল্ড লাইনের সহায়তায় বাইখোড়া থানায় তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধি ৩২৩ এবং ৩৭৬(৩) ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। বাইখোড়া থানার তদন্তকারী আধিকারিক ইন্সপেক্টর রুমা নোয়াতিয়া তদন্ত শেষে পকসো আইনের ছয় ধারা যুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। 

তিনি জানান, আদালতে ১৫ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করার পর আজ স্পেশাল জজ আশুতোষ পান্ডে রায় দিয়েছেন। তিনি নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাণজিত বৈদ্যকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে অতিরিক্ত দুই মাসের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি আক্তার হোসেন মজুমদার এবং সহায়তায় ছিলেন আইনজীবী বিশ্বজিৎ নন্দী।