কলকাতা, ১৫ মার্চ (হি স)। নিজের দাবির সমর্থনে বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম মঙ্গলবার আলিপুরের অনুষ্ঠানমঞ্চে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অশোকবাবু বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভিন্নমতের কথা জানিয়ে দিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে কয়েক হাজার ছেলে-মেয়ের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই চাকরি বাতিলের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি পুরোনো পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেন। বলেন, “একটি রায় দেখেছিলাম, চাকরি নিয়ে- একটি মামলায় উনি বলেছিলেন, সংশোধন করে নাও, যদি ভুল থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানালেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।
২০০৬ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে ছিলেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর এজলাসে নিয়োগ-দুর্নীতি বা চাকরি বাতিল সংক্রান্ত এরকম কোনও মামলা হয়েছে কি না বা তিনি বিশেষ কোনও রায় দিয়েছেন কি না, তা এত বছর পর আর মনে করতে পারেন নি বর্ষীয়ান প্রাক্তন বিচারপতি। তবে পদ্ধতিগত ত্রুটি আর বেআইনিভাবে নিয়োগ সম্পূর্ণ আলাদা বলে স্পষ্ট করে দেন তিনি। এপ্রসঙ্গে বিহারের একটি মামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রাক্তন বিচারপতি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্টত বলেন, “এখন যে ধরনের নিয়োগ দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গে চলছে, সেরকম দুর্নীতি আগে মানুষ দেখেনি। ফলে মনে পড়ছে না, এরকম কোনও মামলা হয়ছে কি না, যার প্রেক্ষিতে এমন রায় দিয়েছি। তবে এটা হতে পারে, কোনও নিয়োগে কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। আমি বলেছিলাম, ত্রুটিটা সংশোধন করে নাও। যাতে চাকরি না যায়। রোজ চাকরি গেলে তো মানুষ বিপদে পড়ে।”