কলকাতা, ১৩ মার্চ (হি স)। রাজ্যে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০০ কোটি নয়, ৩৫০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনুকে কোর্টে পেশ করে সোমবার বিস্ফোরক এই দাবি করল ইডি। বলা হয়েছে, আগে মনে হচ্ছিল ১১১ কোটির দুর্নীতি, এখন মনে হচ্ছে ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি।
এছাড়াও আদালতে ইডি দাবি করে, ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। বছরে ৬ লক্ষ টাকা রোজগার থেকে কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক? ৫১ কাঠা জমি, রিসর্ট, বাংলো-টাকা কোথা থেকে পেলেন যুব তৃণমূল নেতা? আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত, কেস ডায়েরিতে সব স্পষ্ট হবে। কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম আছে, দেখে হতবাক হয়ে যাবেন। নিজের স্ত্রীর নামে সংস্থা খুলে খেলার চেষ্টা করছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।’
যদিও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পেশের আগে বিস্ফোরক দাবি করেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘এই মামলার মাথা কুন্তল। মিথ্যা অভিযোগ করে ভুলপথে সবাইকে চালনা করার চেষ্টা করছে কুন্তলই। ওর টাকাগুলো অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছে, অন্য দিকে পাঠাচ্ছে। কারও নির্দেশে টাকা দেওয়া হয়নি, মিথ্যা কথা বলছে কুন্তল। আমি কোনও কিছুতে জড়িত নই, আগামীদিনে প্রমাণ হবে’।
সূত্রের খবর, প্রাসাদোপম বাড়ি, অভিজাত আবাসনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, হোম স্টে, রিসর্ট, রেস্তোরাঁ, ধাবা-সহ শান্তনুর যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে সেই সংক্রান্ত তথ্য আদালতে তুলে ধরা হবে। ইডি-র দাবি, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসাজশে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ছাড়াও শান্তনু নিজেও চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। ইডি-র অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই সম্পত্তি বাড়িয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, এইসমস্ত তথ্য আজ আদালতে পেশ করে শান্তনুকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে ইডি।