কাঞ্চনমালায় একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত সংঘবদ্ধ হামলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মার্চ৷৷ গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়ায়  সঙ্ঘবদ্ধ হামলায় একই পরিবারের তিনজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷  সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মারধর৷ঘটনার বিবরণের জানা যায় গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়া এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি নিয়ে মঙ্গল মিয়া এবং তার স্ত্রী হাসেনা খাতুন এবং ইউনুস মিয়া সঙ্ঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায় কানু মিয়ার স্ত্রী এবং তার নাবালিকা কন্যা এবং ছেলের উপর৷ সেখান থেকে তারা কোনো রকম ভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়িতে চলে আসে৷ অন্যদিকে ,ঘটনা সংঘটিত করে মঙ্গল মিয়া সহ তার গোটা পরিবার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ খবর দেওয়া হয় আমতলী থানায়৷ খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ মঙ্গল মিয়া সহ তার স্ত্রী এবং ছেলেদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে অল্প বিস্তার আহত হয় কানু মিয়ার স্ত্রী এবং নাবালিকা মেয়ে এবং নাবালক ছেলে৷    আমতলী থানার পুলিশ জানিয়েছে  ঘটনার সাথে যুক্ত মঙ্গল মিয়া এবং তার স্ত্রী হাসেনা খাতুন এবং ছেলে ইউনুস মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷  এই ঘটনায় গোটা মুসলিম পাড়া এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে৷ এদিকে অপর এক পৃথক ঘটনায়, কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়া এলাকায় কতিপয় এআইএম দুষৃকতিকারী বিজেপির সমস্ত সম্প্রদায়ের হুমকি দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে৷ আতঙ্কগ্রস্থ লোকজনরা বিষয়টি বিজেপির নেতৃবৃন্দের নজরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন৷ গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা মুসলিম পাড়া এলাকার শহীদ মিয়ার দোকানে সিপিআইএম এর  ধিমান মজুমদার, তাপস চৌধুরী, কামাল মিয়া, শেখর দেবনাথ সহ বেশ কয়েকজন দুষৃকতিকারীরা কাঞ্চনমালা পাল কলোনি এলাকার রঞ্জন কর্মকার উরফে কেডু নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে মাথা আলাদা করার কথা বলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়৷  জানা গেছে বিজেপির সক্রিয় কর্মী রঞ্জন কর্মকারের এলাকায় কোন   ধরণের অপকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ নেই৷কিন্তু তারপরেও বিজেপি করার অপরাধে সিপিআইএম দলের এই দুষৃকতিকারীরা রঞ্জন কর্মকারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়৷ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ শহীদ মিয়া এবং উনার স্ত্রী কাঞ্চন মালা বাজারে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এসে দলের কার্যকর্তাদেরকে ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে জানায়৷ বিজেপির পক্ষ থেকে শহীদ মিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে সুষ্ঠুভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং পরবর্তী সময়ে আমতলী থানার পুলিশকে জানানো হবে৷ সিপিআইএম এর এই দুষৃকতিকারীদের যন্ত্রণায় দীর্ঘদিন ধরেই কাঞ্চনমালা এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ উঠে৷ তাই কাঞ্চনমালা এলাকার সাধারণ মানুষের দাবী সিপিআইএম এর দুষৃকতিকারীরা ভবিষ্যতে যেন এলাকায় কোন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য প্রশাসন যেন সজাগ দৃষ্টি রাখে৷