পাকিস্তানি এজেন্টদের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড পাচার এবং জিহাদি-যোগের অভিযোগে অসমে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে ১০ পাকিস্তানে ওটিপি পাঠানোর তথ্য উদ্ধার ক্রাইম ব্রাঞ্চের

বাজেয়াপ্ত ২,১৮২-এর বেশি সিমকার্ড, ৩৪টি মোবাইল ফোন, ৩১টি এটিএম কার্ড, ৯-টি প্যানকার্ড, 8-টি ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংকের চেক বই, একটি প্রিন্টার, দুটি ল্যাপটপ, একটি ওয়াইফাই ডিভাইস

গুয়াহাটি, ৮ মার্চ (হি.স.) : পাকিস্তানি এজেন্টদের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড পাচার এবং জিহাদি-যোগের অভিযোগে নতুন পাঁচজনকে যোগ করে অসমে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। অসমের বিভিন্ন নাগরিকদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট ও সিম কার্ড চুরি করে তারা। প্ৰাথমিক তদন্তে ওই সব ফোন এবং সিম থেকে পাকিস্তানে ওটিপি পাঠানোর তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। সেগুলি পাকিস্তানি এজেন্টদের কাছে পাচার করত তারা। এ ধরনের জিহাদি কার্যকলাপে জড়িত বিশাল র্যা কেটকে পাকড়াও করতে জাল বিছিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
জানা গেছে, এনআইএ-র গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে নগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম), কলিয়াবরের এসডিপিও এবং জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার অভিযানে নতুন পাঁচ সাইবার ক্রিমিন্যালকে মধ্য অসমের নগাঁও জেলাধীন মরিগাঁও এবং বটদ্রবা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে ১৮টি মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট, ২০০-এর বেশি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। প্ৰাথমিক তদন্তে পাকিস্তানি এজেন্টের কাছে ওটিপি পাঠানোর তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। ধৃতদের বয়ান অনুযায়ী তাদের আরও পাঁচ সাঁকরেদ রয়েছে। ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে জাল বিছিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

মরিগাঁও এবং বটদ্রবা থেকে নতুন যে পাঁচ জিহাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বাহারুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ জামান, বদরউদ্দিন, আশিকুল ইসলাম এবং মিজানুর রহমান বলে পরিচয় পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মরিগাঁও জেলার অন্তর্গত মইরাবাড়িতে তিন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই সব সাইবার অপরাধী যথাক্রমে ইশহাক আলি, রাব্বুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিনকে মইরাবাড়ির শগুনবাড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকেও ১১টি মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট, ১,৭২০টি সিমকার্ড সহ বেশ কিছু আপত্তিকর জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মরিগাঁও জেলা পুলিশ দুই ভয়ঙ্কর সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিল। ওইদিন গ্রেফতার দুজনের নাম আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মজিত। তালাশি চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে পুলিশ ৫-টি মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট, ২৬২টি সিম কার্ড, ৩১টি এটিএম কার্ড, ৯-টি প্যানকার্ড, 8-টি ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংকের চেক বই, একটি প্রিন্টার, দুটি ল্যাপটপ, একটি ওয়াইফাই ডিভাইস উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, রাজ্যের মরিগাঁও, বরপেটা, বঙাইগাঁও, ধুবড়ি এবং নগাঁও জেলাকে জিহাদিদের আঁতুরঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জিহাদি সংযোগের অভিযোগে এ পর্যন্ত বহুজনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ।