বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ৫৬৬-এর বেশি শরণার্থীর মিজোরামে প্রবেশখাদ্য বাসস্থান দিয়ে যাবতীয় সহায়তায় ইয়ং মিজো অ্যাসো-র

২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩১,৫০০ শরণার্থী মিজোরামের বিভিন্ন স্থানে আশ্রিত

আইজল, ৭ মার্চ (হি.স.) : বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ৫৬৬-এর বেশি শরণার্থী মিজোরামে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের যাবতীয় সহায়তা করছে ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন নামের বেসরকারি এক সংগঠন।
সূত্ৰের খবর, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ৫৬৬ জনের বেশি শরণার্থী রাজ্যের লংত্লাই জেলায় প্রবেশ করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে প্রবেশ করলে ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন নামের বেসরকারি এক সংগঠন যাবতীয় সহায়তা করছে। অস্থায়ী তাবু তৈরি, পানীয় জল, খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, নতুন শরণার্থীরা ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমার ট্রাই-জংশন সংলগ্ন পারভা পার্ট-থ্রি গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, উভয় দেশের শরণার্থীরা জাতিগত মিজো। তাঁরা মিজো জনগণের সাথে একই সংস্কৃতি এবং বংশধর।
এদিকে রাজ্য সরকারের জনৈক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ইতোমধ্যে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩১ হাজার ৫০০ শরণার্থী মিজোরামের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ৫৪১ জন। তিনি জানিয়েছেন, লংত্লাই জেলার আটটি গ্রামে ১৬০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে বাংলাদেশি নাগরিকদের রাখা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক এক জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে গিয়ে সরকারি আধিকারিক জানান, মায়ানমারের নাগরিকরা বেশিরভাগই চিন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিজোরামে পালিয়ে এসেছিলেন। প্রতিবেশী দেশে সামরিক অভ্যুত্থান এবং জাতিগত সংঘর্ষের পর প্রথমে তাঁরা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং পরে মিজোরামে আসা শুরু করেছেন।