তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই, আহত ১

বাসন্তী, ২৫ জানুয়ারি (হি. স.) : ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর জখম হলেন এক যুব তৃণমূল কর্মী। আহতের নাম মোরসেলিম শেখ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢুঁড়ি বাজারে।

বাড়ির সামনেই একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় আচমকা এলাকার তৃণমূল নেতা আজাদ কয়ালের অনুগামীরা তার উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুব তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত রবিবার বাসন্তীতে তৃণমূলের একটি সভা ছিল। বিধায়ক শ্যামল মন্ডলের সেই সভায় যুব তৃণমূল কর্মীরা ডাক পাননি বলে তাঁরা কলতলা এলাকায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর গাড়ি আটকে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গত কয়েকদিন ধরে বাসন্তীতে নতুন করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষ চলছে। একদিকে যেমন মাদার তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তেমনি পাল্টা যুব তৃণমূলেরও অভিযোগ রয়েছে মাদার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

এদিন যুব তৃণমূল কর্মী মোরসেলিমকে আচমকাই কয়েকজন যুবক লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে। কেন সেদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সে সেই অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আক্রান্ত এই যুব তৃণমূল কর্মী বলেন, “ আমি এলাকায় বাবলু কয়ালের সাথে যুব তৃণমূল দলটা করি। আর সেই কারনেই আজাদ কয়াল ও তার লোকেরা আমাকে মারধর করেছে। এদিন সকালেও আমাদের তিনজন যুব তৃণমূল কর্মীকে মেরেছে। ভয়ে আমি সকালে বাজারে আসিনি। সন্ধ্যায় চা খেতে এলে আমারার উপর হামলা চালায়।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা আজাদ কয়াল।

তিনি বলেন, “ এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ২২ তারিখে যে মিটিং ছিল সেখানে আমরা যাচ্ছিলাম বাইক ও গাড়িতে চেপে। সেই মিটিংয়ে যাওয়ার সময় আমাদের উপর হামলা হয়। বাইকের চাবিও কেঁড়ে নেয়। মোরসেলিম একজন মাতাল, কি কারণে সে আহত হয়েছে সেটা জানা নেই। ওর অভিযোগ মিথ্যা।” বিধায়ক বলেন, “ রাজনৈতিক বিবাদের জেরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। পুলিশ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করুক।”