বনগাঁ, ২২ জানুয়ারি (হি.স.) : ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি এসে দফায় দফায় বিক্ষোভের সম্মুখীন হলেন বাগদা বিধানসভার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস । রবিবার এলাকার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা আশারুল পঞ্চায়েতের আমডোবের বাজারে ঢুকতেই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ঘিরে ধরেন তাঁদের। চলতে থাকে তুমুল বিক্ষোভ। এরপর আবার তারা বিক্ষোভের সম্মুখীন হন । এদিন বাজারের পাশ দিয়ে দিদির দৃত কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বিধায়কের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা।
এদিন আশারুল পঞ্চায়েতের আমডোবের বাজারে ঢুকতেই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ঘিরে ধরে ক্ষোভ উগড়ে দেন। খানিকটা সামলে ব্যবসায়ীদের উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ নেন বিধায়ক ও অন্যান্য নেতারা। তারপর বিক্ষোভ কমিয়ে এলাকার ব্যবসায়ীরা বিধায়কের কাছে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরেন। বাজারের বাথরুম ভাঙা, রাস্তা ও ড্রেন তৈরি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা৷ নিকাশি নালা না থাকায় বাজারে জলে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে বর্ষার সময়, এই নিয়েও অভিযোগ করতে দেখা যায় বাজারের ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের কথা শুনে তাঁদের আশ্বস্ত করেন বিশ্বজিৎবাবু৷ তিনি জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাথরুম চালু করা হবে৷ পাশাপাশি বাজার এলাকায় ড্রেন ও রাস্তার বিষয়ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি৷
এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এলাকায় কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সব সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয় তাই এই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। ব্যবসায়ীদের আমি আশ্বস্ত করেছি, খুব তাড়াতাড়ি আমি এখানকার সমস্যার সমাধান করে দেব।”
এদিকে, বাজারে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও অভিযোগের মুখে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাগদা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক। এদিন বাজারের পাশ দিয়ে দিদির দৃত কর্মসূচিতে তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস সহ তৃণমূল নেতারা যাওয়ার পথে স্থানীয় মহিলারা বিধায়কের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। রাস্তা তৈরির দাবিতে এই বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে জানান স্থানীয় এক মহিলা। বাসিন্দাদের বক্তব্য ছিল যতক্ষণ না রাস্তার সমাধান হবে, ততক্ষণ গাড়ি আটকে রাখা হবে৷ তবে রাস্তা তৈরি নিয়ে এলাকার মহিলাদের খোদ বিধায়ক আশ্বস্ত করলে মহিলাদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভরত এক মহিলা এদিন বলেন, “এই পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার হাল খুবই খারাপ। বিশেষ করে বর্ষাকালে এক হাঁটু জল পেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়। বাচ্চাদের একা রাস্তায় ছাড়তে আতঙ্ক গ্রাস করে। এক একটা নির্বাচন পেরোয়, আর মেলে স্থানীয় নেতাদের আশ্বাস।” যদিও এ নিয়ে বিধায়ক বলেন, “বাজারের সমস্যা যেমন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের কথা বলেছি, ঠিক তেমনি এই রাস্তার হালও খুব তাড়াতাড়ি আমি ভালো করার ব্যবস্থা করব।