সিকিম- ১৮২ & ১৬৯
ত্রিপুরা-৫০২/৬
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি।। প্রত্যাশিতভাবেই ইনিংস এবং ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেলো ত্রিপুরা। টানা দুই ম্যাচে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জয় পেয়ে ত্রিপুরা এখন ১৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে চলে গেলো। এম বি বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২৫ কর্ণেল সি কে নাইডু ট্রফি ক্রিকেটে ম্যাচে সিকিমের ১৮২ রানের জবাবে ত্রিপুরা প্রথম ইনিংসে ৫০২ রান করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষনা করে। ৩২০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে সিকিম ১৬৯ রান করতে সক্ষম হয়। এদিন চা পানের বিরতির পরই সিকিমের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। ফলে ১ দিনে আগেই শেষ হয় ম্যাচ। ২২ জানুয়ারি থেকে ত্রিপুরা চতুর্থ প্রতিপক্ষ বাংলা। সল্ট লেক স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। দ্বিতীয় দিনের ৪ উইকেটে ৩৮৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে মঙ্গলবার দিনের শুরু থেকেই ২২ গজে রুদ্রমূর্তি ধারন করেন ত্রিপুরার ব্যাটসম্যান-রা। এদিন মাত্র ১২ ওভার ব্যাট করে ত্রিপুরা স্কোর বোর্ডে আরও যোগ করেন ১১৪ রান। ২২ গজে এদিন রীতিমতো ঝড় তুলেন অলরাউন্ডার ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ। মাত্র ২৮ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান। এর আগে পঞ্চম উইকেটে আনন্দ ভৌমিক এবং দলনায়ক বিক্রম দেবনাথ ২৯৮ বল খেলে ২৪২ রান যোগ করে ত্রিপুরাকে বড় স্কোর গড়াতে মূখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। আনন্দ ১৯৪ বল খেলে ১৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪৩ রান এবং বিক্রম ১৪০ বল খেলে ১৪ টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩২ রান করেছিলেন। ত্রিপুরা ৯৯ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০২ রান করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষনা করে। সিকিমের পক্ষে আকাশ লুইটেল (৩/১১০) সফল বোলার। ৩২০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাপস মন্ডলের ভেলকির সামনে শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে সফররত দল। শেষ পর্যন্ত ৫২.৪ ওভার ব্যাট করে ১৬৯ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে কার্যত একাই লড়াই করেন প্রাণেশ। ১০১ বল খেলে ডান হাতি ওই ব্যাটসম্যানটি ১১ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৫ রান করেন। এছাড়া দলের পক্ষে দলনায়ক ইংশু লিম্বো ৫০ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ এবং রাহুল কুমার ৫২ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে তাপস মন্ডল (৫/৬৬) এবং সন্দীপ সরকার (২/৩১) সফল বোলার।