শান্তিরবাজার(ত্রিপুরা) ৬ জানুয়ারি(হি. স.) : জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রীড়ায় অংশগ্রহণকারি খেলোয়াড়দের চাকুরীতে সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা করছে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নে খেলোয়াড়দের উত্সাহ বৃদ্ধিতে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আজ বিলোনীয়ার বি কে আই মাঠে সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন করে এ কথাগুলি বলেন। তাঁর দাবি, চাকুরী ক্ষেত্রে ওই ক্রীড়াবিদদের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হবে।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় খেলাধুলার মান উন্নয়নে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। খেলাধুলার মান উন্নয়ন করে প্রকৃত ক্রীড়াবিদদের আমরা বের করে আনতে পারব যখন উপযুক্ত পরিকাঠামো আমরা তাদের জন্য গড়ে তুলতে পারব। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ফুটবলের উন্নয়নে রাজ্যে মোট চারটি সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ তৈরি করা হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
এদিন দপ্তরের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ফুটবলের পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে দপ্তর প্রতিটি মহকুমায় একটি করে এমন ফুটবল মাঠ তৈরি করার চেষ্টা করছে। গ্রামগঞ্জ থেকে খেলোয়াড়দের তুলে এনে রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে দপ্তরের লক্ষ্যে। রাজ্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে যা খেলোয়াড়দের বিকশিত করতে সহায়ক হবে। সুস্থ বা বিকশিত মানুষ হতে গেলে বা শারীরিক ও মানিসকভাবে এগিয়ে যেতে খেলাধুলা বিরাট ভূমিকা পালন করে।
সাথে তিনি যোগ করেন, নতুন শিক্ষানীতিতে খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার নেশার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সে যুদ্ধে খেলাধুলা ও ক্রীড়া বিষয়ক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বিরাট ভূমিকা পালন করছে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে তিনি সমাজের সকল অংশের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী আরও বলেন, অন্যান্য ছোট ছোট রাজ্য যদি ন্যাশনাল গেমস আয়োজন করতে পারে তাহলে আমাদের ত্রিপুরাও পারবে। ত্রিপুরা থেকেও জাতীয়মানের খেলোয়াড় উঠে আসবে। সকলকে এ বিষয়ে ইতিবাচক হতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের ছেলেমেয়েদের খেলাধূলায় উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করতে ত্রিপুরা সরকার যেসকল খেলোয়াড়রা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে খেলবেন তাদের জন্য রাজ্যের সকলস্তরের চাকুরীতে সংরক্ষণের চিন্তা ভাবনা করছে।পরিশেষে ক্রীড়া মন্ত্রী নবনির্মিত ফুটবল মাঠকে রক্ষনাবেক্ষণের জন্য এলাকার সকলকে আন্তরিক হতে আবেদন রাখেন। এই মাঠটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।