BRAKING NEWS

নিখোঁজের ২দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকার দেহ

বাসন্তী, ৬ জানুয়ারি (হি. স.) : বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টা। প্রতিবেশীর বাড়ির মাটি খুঁড়ে গর্ত থেকে উদ্ধার দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর উত্তর আমঝাড়ায় নিখোঁজের ২দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকার দেহ । মৃত নাবালিকার বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। খুনের আগে করা হয়েছে ধর্ষণ। এই ঘটনা ইতিমধ্যে দুইজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। তাদের জেরা করে এই ঘটনা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

রোজকার মতো বুধবার বিকালে ফিরেছিল স্কুল থেকে। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়াও করেছিল। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি বাসন্তী থানা এলাকার এক বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকার। প্রাথমিকভাবে পরিবারের সন্দেহ ছিল ঠিকমতো হাঁটতে না পারার কারণে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। জালও ফেলা হয় পুকুরে। খোঁজ মেলেনি নাবালিকার । মেয়ের খোঁজে গুনিনের বাড়িও গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তবে মেলেনি ফল। অবশেষে ঘটনার দুই দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে খোঁজ মিলল ওই চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ। প্রতিবেশীর বাড়ির মেঝেতে পোঁতা ছিল ওই পড়ুয়ার দেহ। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে আগেই বাসন্তী থানার শিমুলতলা পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছিল নাবালিকার পরিবার। অবশেষে বহু খোঁজাখুঁজির পর আজ ওই গ্রামের এক প্রতিবেশীর বাড়ির ঘরের মেঝের মধ্যে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত নাবালিকার বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। খুনের আগে করা হয়েছে ধর্ষণ। এই ঘটনা ইতিমধ্যে দুইজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেও ময়নাতদন্তের পরেই গোটা ঘটনা পরিষ্কার হবে বলে দাবি পুলিশের। ঘটনা প্রসঙ্গে বাসন্তী থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক বলেন, “বাড়ির লোকের কাছ থেকেই প্রথম আমরা ওই নাবালিকার নিখোঁজ থাকার কথা জানতে পেরেছিলাম। পরবর্তীতে পাড়ার লোকের সঙ্গেও কথা বলি। ঘটনার তদন্ত শুরু করি। আজ এলাকা থেকেই ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা ২ জনকে আটক করেছি। ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার মা বলেন, “আমার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছিল। তারপর ভাত খায়। বিকালে ওর টিউশন ছিল। সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আর খোঁজ মেলেনি। আমরাও দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু খোঁজ পাইনি। আশেপাশে সকলের বাড়ি জোর খোঁজ চলে। ও ছোট থেকেই ভাল হাঁটতে পারত না। তাই আমরা ভাবি পুকুরে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। পুকুরেও জাল ফেলা হয়েছিল। সারারাত খোঁজ ফেলা হয় কিন্তু, কোথাও খোঁজ মেলেনি। গুনিনের বাড়িও গিয়েছিলাম। তাঁর কথা মতোও খোঁজ চলে। তবে সন্ধান মেলেনি। আজ ওর লাশ উদ্ধার হল। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। আমি চাই ওদের ফাঁসি হোক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *