চলতি মরসুমে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিল খাদ্য দপ্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জানুয়ারী৷৷ কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য প্রদান করে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগে ২০১৮ সালে ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়৷ যা চলতি খারিফ মরশুমে অব্যাহত রয়েছে৷ বৃহস্পতিবার মহাকরণে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উল্লেখযোগ্য  সাফল্য ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে গিয়ে একথা জানান খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব ডা সন্দীপ আর রাঠোর৷গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই ধান ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ এই মরসুমে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া  হয়েছে৷ এখনো পর্যন্ত ৭৮১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে মোট ১৭,০৭৯ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে৷ এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা৷ বৃহস্পতিবার মহাকরণে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উল্লেখযোগ্য  সাফল্য ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে গিয়ে একথা জানান খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব ডা সন্দীপ আর রাঠোর৷ তিনি আরো জানান কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত আরও একটি জনকল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাধীন প্রতিটি অন্তোদ্যয় পরিবারকে মাসিক ৩৫ কেজি এবং প্রায়রিটি গ্রুপ ভুক্ত পরিবারের সদস্যদের পিছু  মাসিক ৫ কেজি হারে নিয়মিত বরাদ্দকৃত চাল প্রতি কেজি দুই টাকা দরের পরিবর্তে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে৷ এই সুবিধা এক জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ফের চালু হয়েছে বলে জানান তিনি৷  ১৫ টি ফুট ইনস্পেক্টর এর শূন্য পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা৷ টিপিএসসি দ্বারা পরিচালিত কম্বাইন্ড   পরীক্ষার মাধ্যমে এই শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে৷ তাছাড়া খাদ্য দপ্তরে আরো ৩৫টি অন্যান্য গ্রুপ-সি পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদগুলি পূরণ করার জন্য জেআরবিটি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *