BRAKING NEWS

রাজ্যে কৃষকদের কল্যাণে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে : তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যে কৃষকদের কল্যাণে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে৷ কৃষকদের রোজগার বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করছে৷ পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন করার জন্য কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে৷ যাতে করে কৃষকগণ তাদের জমির ফসল উৎপাদন করতে কোন অসুুবিধার সম্মখীন হতে না হয়৷ আজ মজলিশপুরে কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন এলাকার বিধায়ক তথা তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী৷ তিনি বলেন, এখন প্রশাসন জনগণের মধ্যে যাচ্ছে৷ জনগণ প্রশাসনের কাছে যেতে হচ্ছে না৷ তাই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এইরূপ জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে৷ গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের অর্থানুকুল্যে নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৮ লক্ষ টাকা৷ তিনি আরও বলেন, কৃষকরা হল এদেশের অন্নদাতা৷ তাই কৃষকদের শক্তিশালী করতে হবে৷ কৃষকরা শক্তিশালী হলে দেশ বা রাজ্যের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে৷ কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করে চলেছে৷ এই জ্ঞানার্জন কেন্দ্র উদ্বোধনের ফলে এখন এই অঞ্চলের কৃষকদের কোন পরামর্শের জন্য দূরে কোথাও যেতে হবে না৷ এখন দরজার কাছেই এই সুুবিধা পাওয়া যাবে৷ ফুলচাষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এখন ফুল চাষেও সমৃদ্ধি লাভ করছে৷ এখন আর আগের মত বাইরে থেকে ফুল আমদানি তেমন করতে হচ্ছে না৷ তিনি দৃষ্টান্ত দিয়ে বিশালগরের লক্ষীবিল গ্রামের কথা উল্লেখ করেন৷ কৃষি ও উদ্যান পালনের মাধ্যমে কৃষকরা স্বনির্ভর হচ্ছে৷
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন মঞ্জু দাস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ দাস, উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী কৃষক স্বপন দেবনাথকে পাওয়ার টিলার এবং কৃষক অজিত চক্রবর্তীকে পাওয়ার থেশার তুলে দেন৷
তাছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আজ জিরানীয়া মহকুমায় শচীন্দ্রনগর কলোনীতে একটি উপকৃষি বীজাগার তথা গ্রামসেবক কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেন৷ গ্রামসেবক কেন্দ্রের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে এই বীজাগার কেন্দ্রের ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা আর দূর দূরান্তরে গিয়ে কৃষিজ কাজে ব্যবহারের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী আর আনতে হবে না৷ এখন নিজের অঞ্চলেই এগুলি পাওয়া যাবে৷ প্রসঙ্গত শচীন্দ্রনগর গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ণ স্থানে এই বীজাগার কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে৷ এখানে তিনি কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কৃষক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *