দেশের প্রথম মহিলা শিক্ষিকা সাবিত্রীবাই ফুলে-কে শ্রদ্ধার্ঘ্য মোদীর, বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অমিত শাহের

নয়াদিল্লি, ৩ জানুয়ারি (হি.স.): স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষিকা সাবিত্রীবাই ফুলে-কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জন্মজয়ন্তীতে সাবিত্রীবাই ফুলে-কে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। মঙ্গলবার টুইটে নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “অনুপ্রেরণাদায়ী সাবিত্রীবাই ফুলে-কে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তাঁর মধ্যে আমরা নারী শক্তির চেতনা দেখতে পাই। তাঁর জীবন মেয়েদের শিক্ষিত এবং ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিত ছিল। সমাজ সংস্কার ও সমাজসেবায় তাঁর অবদান সমানভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে লিখেছেন, “দেশের প্রথম মহিলা শিক্ষিকা সাবিত্রীবাই ফুলে-র জন্মবার্ষিকীতে প্রণাম জানাই। নারী শিক্ষা, সম্মান ও ক্ষমতায়নের প্রতি তাঁর উৎসর্গ ছিল অনন্য। অনেক স্কুল চালু করে মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করার পাশাপাশি তিনি সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন।”

৩ জানুয়ারি। সমাজ সংস্কারক এবং নারীবাদী আইকন সাবিত্রীবাই ফুলের জন্মবার্ষিকী। ১৮৩১ সালের এই দিনেই মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ভারতে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সাবিত্রীবাই তাঁর স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সহায়তায় ১৮৪৮ সালে পুণের ভিড়েওয়াড়ায় ভারতের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটির প্রতিষ্ঠা করেন। পিতৃতন্ত্রের শৃঙ্খল ভেঙে বেরনোর একমাত্র উপায় নারীদের শিক্ষা, এমনটাই মনে করতেন তিনি। তাঁকে অনেকেই দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের মধ্যে একজন বলে অভিহিত করেন। ব্যবসায়িক স্বার্থ বা অন্য উদ্দেশ্যের ঊর্ধ্বে, তিনি এমন এক সময়ের বালিকা বিদ্যালয় চালু করেছিলেন, যখন মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার কথা আম দেশবাসী সম্ভবত ভাবতেও পারেননি।

সেই সময়ে বাল্যবিবাহই ছিল রীতি। ব্যতিক্রম ছিলেন না সাবিত্রীবাইও। মাত্র ৯ বছরে জ্যোতিবা ফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সেই সময়ে তিনি নিরক্ষর ছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁকে বাড়িতে পড়তে এবং লিখতে শিখিয়েছিলেন। পড়াশোনা শেষ করার পর, তিনি দু’টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। একটি আহমেদাবাদে এবং অন্যটি পুণেতে।