নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর৷৷ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার চায় সবার জন্য পাকা আবাস, বিদ্যৎ সংযোগ, পানীয় জলের সংযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে৷ রাজ্যের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নেও রাজ্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও পরিষেবার সুুবিধা সবার কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে৷ সিপাহীজলা জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে গত ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলাভিত্তিক দিশা কমিটির বিশেষ বৈঠকে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক একথা বলেন৷ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিধায়ক সুুভাষ চন্দ্র দাস, জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অতিরিক্ত জেলাশাসক অরুণ কুমার রায়, বিভিন্ন প’ায়েত সমিতি এবং বিএসি’র চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন৷
বৈঠকে জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার পওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির রূপরেখা তুলে ধরেন৷ সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, জল জীবন মিশনে ইতিমধ্যেই ৫১ হাজার ৪৮৮টি পরিবারে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ বাকি পরিবারগুলোতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে৷ জেলায় ৩৬টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে ও ২৩৭ কিলোমিটার পাইপলাইন সম্পসারণ করা হয়েছে৷ সভায় পূর্ত দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, জেলায় পিএমজিএসওয়াই এক এবং দুই প্রকল্পে ২০৯টি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷ যার দৈর্ঘ্য ৬২৮.৪৫৪ কিলোমিটার৷ নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি সেতু৷ পিএমজিএসওয়াই থি প্রকল্পে জেলায় ১১৯.৯২২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ক’ষি দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, রবি মরশুমে জেলায় ২ হাজার ৬৩২ জন ক’ষকের কাছ থেকে নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হয়েছে৷ তাতে ক’ষকগণ ১১.২৬ কোটি টাকা পেয়েছেন৷ ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জেলার ৭টি স্থানে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ক’ষি দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় ৫ হাজার ২২৪ জন ক’ষক ৪৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন৷
স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, বর্তমানে জেলার ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৮৪টি পরিবার আয়ুমান ভারত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে৷ তিনি জানান, জেলায় বর্তমানে ৫৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১৪২টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে৷ সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, জেলায় ১ হাজার ২৮৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে৷ এই কেন্দ্রগুলি থেকে মা ও শিশুদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে৷