সাব্রুম(ত্রিপুরা), ২২ ডিসেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরার সব অংশের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ এগিয়ে চলেছে। আজ সাব্রুম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে জনজাতি ছাত্রীদের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বালিকা আবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই বিদ্যালয়ে বীনাপানি স্বসহায়ক দলের কেন্টিনেরও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বর্তমান ত্রিপুরা সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে জনজাতিদের ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছায় তার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় জাতি-জনজাতি উভয় অংশের মেলবন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার উপর গুরুত্বারোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিক নির্দেশনায় বর্তমান ত্রিপুরা সরকার রাজ্যকে দেশের মধ্যে সামনের সারির একটি রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য কাজ করে চলেছে।
এতে সব অংশের মানুষের সহযোগিতা কামনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে ত্রিপুরার পারফরমেন্স দেশের মধ্যে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা যাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে সেজন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ত্রিপুরা সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি চাকুরিতে তাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে তাদের নিয়ে গড়া স্বসহায়ক দলের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকার প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ১২৫টি বিদ্যালয়কে বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয় প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা, গানবাজনা, যোগ ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভাবে আরও বিকশিত করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।