কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কারা ঘর পেয়েছেন, সরেজমিনে গেলে হাওড়ার আমতার গাজিপুরে মহিলা সরকারি আধিকারিক-সহ ২ জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া হয়। শুক্রবার আমতা থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল এক অভিযুক্ত।
হাওড়ার রোজ ম্যারি লেনের পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহকারী মৎস্য পরিচালকের কার্যালয়ের লেটারহেড প্যাডে ঠিকানা, মেমো-সহ অভিযোগ পাঠানো হয়। তাতে লেখা, আমতা ১ ব্লকের এফইও (মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক) সোমদত্তা দাশগুপ্ত হাওড়ার আমতায় উদাং দুনম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবাসপ্লাস প্রকল্পের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আপনার সদয় অবগতির জন্য তার অনুলিপি এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্লক ও স্থানীয় পর্যায়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য এই পত্র পাঠানো হল।
মৎস্য দফতরের অধিকর্তাকে লেখা সহকারী অধিকর্তার এই মারাত্মক অভিযোগ জেলাশাসককেও সরকারিভাবে জানানো হয়। এর পর শুক্রবার সেই চিঠি যুক্ত করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লেখেন, “লজ্জাজনক! সরকারী কর্মকর্তা; যিনি একজন ভদ্রমহিলাও, পিএমএওয়াই-জি স্কিমের জন্য পরিদর্শনের সময় টিএমসি গুন্ডাদের দ্বারা প্রহৃত হন। দয়া করে মনে রাখবেন যে সরকারী চিঠিপত্রে ‘পিএমএওয়াই-জি’-কে ‘আবাস প্লাস’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও ‘প্রধানমন্ত্রী’ শব্দ ব্যবহার করতে নারাজ।“ টুইটটি শুভেন্দুবাবু যুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে।
বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হয়। অভিযোগ দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় বিকেলে এক সন্দেহভাজনকে স্থানীয় থানা গ্রেফতার করে।