সমাপ্ত হল খোয়াইয়ের দুই দিনব্যাপী হস্ততাঁত ও বস্ত্র মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ডিসেম্বর৷৷ সমাপ্ত হলো খোয়াইয়ের দুই সপ্তাহব্যাপী হস্ততাঁত বস্ত্রমেলা৷একুশে নভেম্বর থেকে বসেছিল মেলার আসর৷খোয়াই সরকারী দ্বাদশ সুকল মাঠে আয়োজিত মেলার সমাপ্তি ছিল রবিবার৷  হস্ততাঁত বস্ত্রমেলা এবার সবদিক দিয়েই সফল বলে দাবী করলেন খোয়াই মিলন তন্তুবায় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় কুমার দেবনাথ৷তিনিই দুই সপ্তাহের মেলার মূল তদারকীর দায়িত্ব অত্যন্ত সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন৷মেলার উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনিই সভাপতিত্ব করেন৷বিজয় কুমার দেবনাথ জানান, এবার খোয়াই হস্ততাঁত বস্ত্রমেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ছিল তিপ্পান্নটি৷ এরমধ্যে বহির্রাজ্যের ছিল মোট চারটি স্টল৷এগুলোর মধ্যে ছিল উত্তর প্রদেশের দুটি, কলকাতা ও আসাম থেকে একটি করে৷বাকী স্টলগুলো ছিল রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমার৷বিজয় বাবু জানালেন, হস্ততাঁত বস্ত্রমেলা রাজ্যের তাঁতশিল্পের বিকাশ , প্রচার ও প্রসারে অনেকটাই সহায়তা করে৷তাঁতশিল্পীরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্যসম্ভার এসব মেলায় বিক্রি করার সুযোগ পান৷মেলায় আসার সুবাদে তাঁতশিল্পীরা নিজেদের মধ্যে মতামত বিনিময়ের সুযোগ লাভ করেন৷পণ্যসম্ভার উৎপাদনে তারা অধিক উৎকর্ষতার বিচার বিবেচনা করতে পারেন৷প্রসংগক্রমে তিনি তথ্য দিয়ে জানান , রাজ্যে বর্তমানে মোট সাইত্রিশ হাজার চারশ সাতাশ জন তাঁতশিল্পী রয়েছেন৷ বিজয় বাবু জানালেন যে, এবারের খোয়াই হস্ততাঁত বস্ত্র মেলায় চৌদ্দ দিনে মোট চৌদ্দ লক্ষ টাকার মালামাল বিক্রি হয়েছে৷যা খুবই আশাব্যঞ্জক৷ এছাড়াও তিনি জানান যে, মেলার চৌদ্দ দিনেই প্রতি সন্ধ্যায় মঞ্চে ছিল রকমারী উপস্থাপনার মনমাতানো সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান৷এতে স্থানীয় শিল্পীরা আন্তরিক সাবলীলতায় নৃত্য ও সংগীতে অংশ নেন৷প্রতি সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্থানীয় শিল্পীদের বিভিন্ন উপস্থাপনার সুযোগ করে দেওয়া হয়৷যার মধ্য দিয়ে সংসৃকতির বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পীরা নিজেদের সংসৃকতি চর্চার সুযোগ পেলেন৷এরমধ্য দিয়ে তারা নিজেদের সংসৃকতি চর্চাকে আরো বিকশিত করার সুযোগ পেলেন৷বিজয় কুমার দেবনাথ জানালেন, রবিবার সন্ধ্যায় হস্ততাঁত বস্ত্রমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের হস্ততাঁত কারু ও রেশমশিল্প দপ্তরের অধিকর্তা কুন্তল দাস, খোয়াই জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস৷ তনি জানান, রাজ্যের হস্ততাঁত কারু ও রেশমশিল্প দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত হলেও মেলার সুষ্ঠু পরিচালনা ও সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব বর্তেছিল মিলন তন্তুবায় সমবায় সমিতির ওপর৷সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিজে এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *