বাঁকুড়া, ২৬ নভেম্বর (হি. স.) : “বীজ বুনবো কালী ধামে জোড়াফুল ফুটবে মল্লভূমে” বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা সভা করতে এসে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এভাবেই বিজেপি ও মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা জবাব দিলেন। শনিবার মেজিয়ায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাত্য বসু।গত বৃহস্পতিবার এই মাঠের পাশেই মিঠুন চক্রবর্তী সুকান্ত মজুমদাররা পঞ্চায়েত নির্বাচনের কর্মী সভায় তৃণমূলের দুর্নীতি ও সাধারণ মানুষের বঞ্চনার কথা বলে মমতা সরকারকে তুলোধুনা করেন। এদিন তারই পাল্টা হিসেবে আজএই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় মূল বক্তা ব্রাত্য বসু ছাড়াও জয়প্রকাশ মজুমদার, সমীর চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ছেড়ে মিঠুন চক্রবর্তীকেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমন করে গেলেন ব্রাত্য বসু ।তিনি বলেন এদিন জলের মতো পরিস্কার ইডি সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে তিনি বিজেপিতে গেছেন। উনি অমিত শাহের হাত ধরেছেন ঠিকই কিন্তু অমিত নামটা ওনার পছন্দ নয়। অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের উপমা দিয়ে বলেন উনি আরেকটা অমিতাভ বচ্চন হতে পারতেন। যদি উনি একবার শিবসেনা তো কখনো সুভাষ চক্রবর্তী তো কখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কখনও বিজেপির হাত না ধরতেন। উনি ৪০ বছর ধরে বোম্বের বাসিন্দা এখন বাংলায় এসে উনি বাঙলা দরদি দেখাচ্ছেন। উটিতে কেন হোটেল করলেন। এ রাজ্যেও তো লগ্নি করতে পারতেন। সমীর চক্রবর্তী বলেন মিঠুন সারদার টাকা নিয়েছেন, অ্যালক্যামিস্টের টাকা নিয়েছেন। ইডি সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই বিজেপির ওয়াসিং মেসিনে ঢুকেছেন । জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, উটিতে যেখানে ওনার হোটেল আছে সেখানে হাতির করিডর, আদিবাসীদের জল জমি বসত বাড়ি। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। মিঠুন জবাব দিয়েছিলেন, তিনি নাকি হোটেলে আসা লোকেদের ফাইফরমাস খাটার জন্য আদিবাসীদের কাজের ব্যবস্থা করেছেন। তারা চাকর গিরি করে রুটি রুজির জোগাড় করছেন। জয়প্রকাশ বলেন মিঠুন আদিবাসীদের চাকর করতে গিয়ে আজ তিনিই অমিত শাহর চাকর হয়েছেন।
সাংবাদিকরা ব্রাত্য বসুকে দুর্নীতি ও বিচারকদের নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সেগুলি এড়িয়ে যান। তাকে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে নিয়োগের ব্যাপারে সিবিআই ডেকেছে কি না তার জবাবে বলেন এটা সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে তাই এনিয়ে কিছু বলব না। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, এদিনই ঠাকুর নগরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মমতাকে তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে ছাড়বেন। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুভেন্দু তার মত বলেছেন। মমতা সৌজন্যের রাজনীতি করেন। তাই ডেকে চা খাওয়ান। মমতা হলেন অত্যন্ত ক্ষমাশীল মানুষ। তিনি সারা জীবন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, যদি না প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান।