নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৪ নভেম্বর৷৷ চিকিৎসক স্বল্পতায় ভুগছে মহকুমা হাসপাতাল৷ তিতি বিরক্ত মহকুমা হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীসহ রোগীর আত্মীয় পরিজন৷ কথা হচ্ছে তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাসপাতাল এর চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে৷
তেলিয়ামুড়া মহকুমার জুড়ে একটি মহকুমা হাসপাতাল এবং দুইটি হাসপাতাল রয়েছে৷ এই তিনটি হাসপাতালে উপর নির্ভর করে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনেরা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকে৷ তবে পেলে মনে মহকুমার হাসপাতালের উপর নির্ভর থাকছে মঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা, পাহাড়ি জনপদ গুলির মানুষ জনেরা সহ তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের বিভিন্ন এলাকা, তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অধীন বিভিন্ন সমতল এবং পাহাড়ি এলাকার মানুষজনরা৷ হাসপাতালে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকলেও দুইটি ব্লক এলাকার মানুষেরা এমবিবিএস ডাক্তারের উপর নির্ভরশীল৷ প্রতিদিনই তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে বহি বিভাগ সহ জরুরীকালীন চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকে৷ বর্তমানে কিছুদিন ধরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকস্বল্পতা লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ একই ডাক্তার দিয়ে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা এক প্রকার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে অভিযোগ দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগের আত্মীয় পরিজনদের৷
এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার কারণে মুমূর্ষ রোগীরা ওই চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে আগরতলা রাজধানীতে নতুবা বহিরাজ্যে৷ এদিকে প্রত্যন্ত এলাকার থেকে উপজাতি মানুষজন এবং গরিব মানুষেরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার কারণে অর্থের অভাবে রাজধানী আগরতলা কিংবা বহি রাজ্যের চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যেতে পারছে না মুমূর্ষ রোগীদের৷ আর তার ফলে বিনা চিকিৎসায় থাকতে হচ্ছে গরিব মানুষদের৷
দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগী সহ আত্মীয়- পরিজনদের অভিমত, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা একপ্রকার তলানিতে গিয়ে থেকেছে৷ দাবি উঠেছে বর্তমান স্বাস্থ্য দপ্তর যেন প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মহকুমার হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য৷