নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ নভেম্বর৷৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজ্য থেকে প্রতিনিয়ত অবাধে বহিঃরাজ্যে পাচার হচ্ছে গাঁজা৷ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা কি কিছুই জানে না? প্রশ্ণ জনমনে৷সরকারি ও দলীয় অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বলেন রাজ্য থেকে কোন নেশা সামগ্রী বহিঃরাজ্যে যেতে দেওয়া হবে না৷ এমনকি বহিঃরাজ্য থেকেও কোন ধরনের নেশা সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না৷ সেই দিশাতে কাজ করছে সরকার৷ আরক্ষা প্রশাসনকেও সেই দিশাতে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও প্রায় প্রতিদিন রাজ্য থেকে বহিঃরাজ্যে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা৷ প্রশ্ণ হচ্ছে কি ভাবে এই গাঁজা পাচার হচ্ছে৷ রাজ্য থেকে প্রতিনিয়ত বহিঃরাজ্যে গাঁজা পাচার হচ্ছে৷ আসাম পুলিশ তার স্পষ্টীকরণ দিচ্ছে৷ গাড়ি রাজ্য থেকে আসামে প্রবেশ করার পর অসম-চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টে ধরা পড়ছে ধারাবাহিক ভাবে৷ প্রশ্ণ হচ্ছে রাজ্য পুলিশ যদি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নেশার বিরুদ্ধে আপোষ হীন নিতি নিয়ে কাজ করে থাকে তাহলে কি ভাবে রাজ্য থেকে এই গাঁজা আসাম পৌঁছাল৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কলাপাতা দেখিয়ে প্রতিনিয়ত বহিঃরাজ্যে গাঁজা পাচার হচ্ছে৷ প্রশ্ণ হচ্ছে কেন এমনটা হচ্ছে৷ তাও আবার রাজ্য পুলিশের চোখে ফাকি দিয়ে, এইটা বিশ্বাস যোগ্য নয়৷ কারন পুলিশ চাইলে সবকিছু করতে পারে৷ কিন্তু প্রশ্ণ হচ্ছে গাঁজা পাচার কেন বন্ধ করতে পারছে না রাজ্য পুলিশ৷ গাঁজা বোঝাই লরি ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে অসমে প্রবেশ করতেই অসমের চোরাই বাড়ি ওয়াচপোষ্টের পুলিশ গাঁজা বোঝাই দরিটি আটক করেছে৷ আরো একবার ত্রিপুরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গাঁজা বোঝাই কন্টেইনার লরি বহিঃরাজ্যে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল৷ সেই সময় অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস ঐ গাঁজা বোঝাই লরিটি আটক করতে সক্ষম হন৷ অসম পুলিশের সাফল্য বারবার প্রমাণিত হচ্ছে৷ আর এই গাঁজা ধরপাকড় কাণ্ডের দক্ষ অফিসার হিসেবে নিজেকে জাহির করেছেন ওয়াচ পোস্টের ইনচার্জ৷ সোমবার রাত্রি আটটা নাগাদ ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে অসম চুরাইবাড়ি পুলিশের নাকা পয়েন্টে আসতেই লরিটিকে সিগন্যাল দেওয়া হয়৷ পুলিশের আচ পেতেই অন্ধকারে গাড়ি রেখে ঘা ঢাকা দেয় চালক৷ অবশ্য পরে পুলিশ গাড়িটি সম্পূর্ণ তল্লাশি করে গাড়ির গোপন কেবিন থেকে ৪১টি প্যাকেটে মোট চারশো দশ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে৷ যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় একচল্লিশ লক্ষ টাকা বলে জানান ওয়াচ পোস্ট পুলিশ ইনচার্জ৷ চালককে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে৷ তবে গাঁজা ধরপাকড় কান্ডে ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস করিমগঞ্জ জেলা পুলিশের নাম উজ্জ্বল করেছেন৷ এই গাঁজা আটকে হাবিলদার মোহন লাল দাস,সালাউর রহমান চৌধুরী ও ফাহাদুল ইসলামরা যথেষ্ট চতুরতার ও তৎপরতার প্রমাণ দিয়েছেন৷ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷
2022-11-22