নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : কাজের মাত্রাতিরিক্ত চাপ দিতেই গণইস্তফা দিতে শুরু করেছে টুইটারের কর্মীরা । তবে কর্মীদের ইস্তফা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক। বরং গণইস্তফার পরদিনই তিনি টুইটার নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন। শুক্রবারই ইলন মাস্ক টুইটে বলেন, “টুইটারের নতুন নীতি বাকস্বাধীনতার, কিন্তু রিচের স্বাধীনতা নয়”।
চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই ইলন মাস্ক সংস্থার কর্মীদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। বলেছিলেন, কঠোর পরিশ্রম না করতে পারলে কর্মীরা চাকরি ছাড়তে পারেন। এরপরই কর্মীরা গতকাল থেকে গণইস্তফা দিতে শুরু করেছেন। ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যেই টুইটারের কর্মী সংখ্যা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
এদিন সকালেই ইলন মাস্ক টুইট করে টুইটারের নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, যে সমস্ত টুইটে ঘৃণামূলক বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য থাকবে, তা ‘ডিবুস্ট’ ও ‘ডিমানিটাইজ’ করে দেওয়া হবে। টুইটারের এই নীতিতে ইলন মাস্ক এক কথায় বলেছেন, “টুইটারের নতুন নীতি হল বাক স্বাধীনতার, রিচ (জনগণের কাছে পৌঁছনোর) স্বাধীনতা নয়। উসকানিমূলক ও ঘৃণামূলক মন্তব্যের টুইটগুলিকে ডিবুস্ট ও ডিমনিটাইজ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কোনও বিজ্ঞাপন বা অন্য কোনও উপায়ে টাকা পাওয়া যাবে না।”
ইলন মাস্ক আরও জানান, যতক্ষণ না আপনি নিজে বিশেষ করে ওই বিদ্বেষমূলক টুইটটিই খুঁজছেন, ততক্ষণ অবধি সেই টুইট আপনি দেখতে পারবেন না। তবে এটা গোটা অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও টুইট, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে, সেটিকেই লোকচক্ষুর আড়াল করা হবে।
অন্যদিকে, মাস্ক অপর একটি টুইটে পোল তৈরি করেছেন। মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা উচিত নাকি বন্ধ রাখা উচিত, তা টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেই জানতে চেয়েছেন।