ঋদ্ধিমান, রজতের দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও অল্পেতে চন্ডিগড় জয় অধরা ত্রিপুরার

চন্ডিগড়: ২৫৫/৬ (৫০ ওভার)

ত্রিপুরা: ২৫১/৯(৫০ ওভার)

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ নভেম্বর।। ঋদ্ধিমানের ব্যাটে শতরান, সঙ্গে রজতের দুর্দান্ত ব্যাটিং। কিন্তু কার্যত জয় অধরাই থেকে গেল ত্রিপুরা দলের। জয়ী চন্ডিগড়, মাত্র চার রানের ব্যবধানে। তবে ২৫৫ রানকে তাড়া করে আর একটা বাউন্ডারি হাঁকাতে পারলেই জয় চলে আসতো ত্রিপুরার মুঠোয়। দারুন ক্রেডিট পেতো ঋদ্ধিমানের নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা দল আজ। বিজয় হাজারে ট্রফি ক্রিকেটে দিল্লিতে পালান টু-তে এয়ার ফোর্স কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডে চন্ডিগড় ম্যাচে তীরে এসে তরী ডোবালো ত্রিপুরার সিনিয়র ক্রিকেটাররা। অন্তিম জুটিতে পারভেজ সুলতান ও চিরঞ্জীত পাল শেষ বল পর্যন্ত চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। পাঁচ রানের টার্গেটে শেষ বলে চিরঞ্জীত ছক্কার উদ্দেশ্যে ব্যাট ঘুরিয়েছিল। কিন্তু ব্যাটে বলে তেমন হয়নি বলে এক রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। রাজ্য দলের অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহার ১০১ রান এবং রজত দে-র ৭৮ রান বেশ উল্লেখযোগ্য। ঋদ্ধিমান ১০৬ বল খেলে ছটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে। রজত ৮৭ বল খেলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ৭৮ রান পায়। এর আগে চন্ডিগড় টসে হারলেও প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে শিভম ভামরির ৫৯ রান এবং গৌরব পুরীর অপরাজিত ৫৩ রান উল্লেখযোগ্য। তবে ওপেনার আর্সালাম খানের ৪৩ রান, ভাগমেনদের লাদের-এর ৪৮ রান, শেষ দিকে গোবিন্দ সিং-এর অপরাজিত ৩৩ রান না হলে ফলাফল ত্রিপুরার পক্ষেই আসতো। ত্রিপুরার বোলার রানা দত্ত ও চিরঞ্জিত পাল ২টি করে এবং অজয় সরকার ও দীপক ক্ষৈত্রী একটি করে উইকেট পেয়েছে। অপরদিকে চন্ডিগড়ের রোহিত ধান্দার ৬৮ রানে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি ত্রিপুরা দলের জয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার মূল কারণ। এছাড়া, সন্দীপ শর্মা পেয়েছে তিনটি উইকেট ২৭ রানের বিনিময়ে। ত্রিপুরা দলের পরবর্তী ম্যাচ ১৭ নভেম্বর, হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে।