দ্বীপরাজ, দেবরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাকে লড়াই ছুড়ে দিলো ত্রিপুরা

ত্রিপুরা-‌৩২২
বাংলা-‌৮২/‌২

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ নভেম্বর।। বাংলার বিরুদ্ধে চালকে আসনে ত্রিপুরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে কিছুটা ভালো জায়গায় রয়েছে রাজ্যদল। আজ তৃতীয় দিনের সকালে যদি ত্রিপুরার বোলাররা জ্বলে উঠতে পারেন তাহলেই বাংলার মাটিতে ওই রাজ্যের বিরুদ্ধে লিড নিতে পারবে ত্রিপুরা। অনূর্ধ্ব-‌১৯ কোচ বিহার ট্রফি ক্রিকেটে। কল্যাণীর ব্যাঙ্গল ক্রিকেট আকাদেমি মাঠে দ্বিতীয় দিনের শেষে ত্রিপুরা এগিয়ে রয়েছে ২৪০ রানে। ত্রিপুরার প্রথম ইনিংসে গড়া ৩২২ রানের জবাবে স্বাগতিক বাংলা ২ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করে। দ্বীপজয় দেবের পর ত্রিপুরাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে মূখ্য ভূমিকা নেন অলরাউন্ডার দেবরাজ দে। দুরন্ত ব্যাট করলেও শতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দেবরাজ। তবে শতরান করতে ভুল করেননি দ্বীপজয়। বাংলার পেস বোলার সায়েদ ইরফান আফতব ৭ উইকেট পেয়েছেন। প্রতম দিনের ৬ উইকেটে ১৯৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে রবিবার দ্বীপজয়ের সঙ্গে জুটি বঁাধেন দেবরাজ দে। ওই দুজন ত্রিপুরাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। ইতিমধ্যে নিজের শতরান পূরণ করেন দ্বীপজয়। ওই জুটি ২৪৪ বল খেলে ৭৭ রান যোগ করেন। দ্বীপজয় ৩২৭ বল খেলে ১৩ টি বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১২০ রান করে। দেবরাজ দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করে ত্রিপুরাকে তিনশতরানের গন্ডি পার করাতে সাহায্য করেন। দেবরাজ ২২৩ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮০ রানকরেন। ত্রিপুরা অতিরিক্ত ২৪ রানের কঁাধে ভর দিয়ে ১৪৭.‌৩ ওভার ব্যাট করে ৩২২ করে। বাংলার পক্ষে সায়েদ ইরফান আফতাব (‌৭/‌৮৪) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর বাংলার হয়ে রুখে দঁাড়ান সুমিত নাগ এবং দলনায়ক শশাঙ্ক সিং। ওই জুটি প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এবং দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান। সুমিত‌ ৯২ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫ রানে এবং শশাঙ্ক  ৪৩ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। ত্রিপুরার পক্ষে রাজদীপ দত্ত (‌১/‌১৭) এবং দেবরাজ দে (‌১/‌৩১) সফল বোলার।‌‌