কলকাতা, ১৩ নভেম্বর (হি.স.) : কাউন্সিলরদের তরফ থেকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই মনে করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । যার জন্যই কলকাতায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডেপুটি মেয়র “সার্বিক সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে”।
রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রভাব। তবে আলাদা করে কলকাত শহরের কথা বলতেই হয়। কলকাতায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি । কার্যত স্পষ্ট ভাষায় ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, তিন মাস আগেই কাউন্সিলরদের পুরসভার তরফ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাউন্সিলরদের তরফ থেকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে ডেঙ্গি শহরে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। কার্যত ডেঙ্গি নিয়ে সার্বিক সচেতনতার অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে ।
প্রসঙ্গত, প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও সামনে আসছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরদের গলদ নিয়ে এদিন অতীন ঘোষ বলেন, “কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম যে কোন জায়গা আমাদের ধরতে হবে, কোন জায়গা আমাদের চিনত হবে ও কোন জায়গায় কাজ করতে হবে। তবে এখন যা ফলাফল এতে দেখা যাচ্ছে যে কোথাও দুর্বলতা ছিল।”
অন্যদিকে ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভার প্রস্তুতি বৈঠকে ডাক পাননি বিজেপি কাউন্সিলররা। আর তাই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিরোধী কাউন্সিলর তো আছি মাত্র পাঁচ-ছ’জন। বাকি তো ওনারা। কী করলেন। তাহলে আমরা কি কাউন্সিলর নই? ওই দিদিমণির প্রশাসনিক সভার মতো। প্রশাসনিক লোক নিয়ে মিটিং করা হবে। আমার অঞ্চলে ডেঙ্গি হয় না!”
অন্যদিকে ডেঙ্গি বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসাবে উঠে আসছে পরিত্যক্ত ফাঁকা জমির সমস্যা। দেখা যাচ্ছে, উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় পরিত্যক্ত জমি, পুকুর, নর্দমার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর ফাঁকা জমি কিংবা পরিতক্ত পুকুর কিংবা নর্দমাই ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশাদের প্রথম পছন্দ।