কলকাতা, ৭ নভেম্বর (হি. স.) : গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শিখ সমাজের কাছে হালুয়া খাওয়ার আবদার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার কলকাতায় গুরু নানক জন্মজয়ন্তীর এক অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আপনারা ভাল করে গুরুপরব করবেন। আর আমার ঘরে হালুয়া পাঠাবেন।” এর পাশাপাশি গুরুনানক ভবনের কথাও বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গুরুনানক ভবনের কথা আপনারা বলেছেন। ওটি ৬ কোটির টাকার সম্পত্তি। আমাদের সেটি একবারে করা সম্ভব নয়। আপনারা আমাকে আর একবার আবেদন দিন। আমি এক টাকায় দিয়ে দেব। সামাজিক কাজের জন্য আমরা দিতে পারব। আমরা হিডকো বোর্ড হয়ে মন্ত্রিসভায় পাশ করিয়ে তা করে দেব৷”
মঙ্গলবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে সোমবারই গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিখ সমাজের অনেকেই আছেন এখানে। আগামিকাল আমি কৃষ্ণনগর যাব। তাই আজ এলাম। আমাদের সঙ্গে আপনাদের সারাবছর যোগাযোগ আছে। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থাকুন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই।”
এর পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবকেও এক সুতোয় গাঁথলেন তিনি। বললেন, “পঞ্জাব ও বাংলার ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামে এক। আন্দামানে গিয়ে দেখুন। সেখানে সেলুলার আছে। সেখানে গিয়ে দেখবেন, যাঁরা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছেন, তাঁদের মধ্যে সবার আগে আছেন পঞ্জাব ও বাংলা। তাই সবসময় বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের যোগ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জনগনমণ লিখেছিলেন পঞ্জাব দিয়ে। পঞ্জাবের মানুষ দেশকে রক্ষা করেন। সীমান্তে প্রচুর সংখ্যায় তাঁরা আছেন। এনারা দেশের জন্য কাজ করেন।