সিউড়ি, ৬ নভেম্বর (হি.স.) : বালি খাদানের দখলকে কেন্দ্র করে বীরভূমের সিউড়ির বাঁশজোড় গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ’ বীরভূম সফররত রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “আমি পুলিশকে বলেছি এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। যাঁরা সমাজবিরোধী তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে।”
এদিকে বর্তমানে সাংগঠনিক বৈঠকের উদ্দেশে বীরভূমের সিউরিতে আছেন ফিরহাদ। এদিন সকালে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্টই জানান তিনি সকালেও এলাকায় বোমার আওয়াজ শুনেছেন। প্রসঙ্গত, গতকালের ঘটনার পরই এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। দিবারাত্র চলছে টহলদারি। তারপরেও কী করে ঘটছে বোমাবাজির ঘটনা? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে গিয়ে প্রশাসন তথা পুলিশের খানিকটা ‘গাফিলতি’ আছে বলেও মত প্রকাশ করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “আমি এটাই ডিআইজি শ্যাম সিংকে বললাম আপনি এখানে থাকতে কী করে এখানে বোমাবাজি হল? দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যত ফোর্স লাগে পাঠান। বেআইনি বালি খাদান সরকার চালাতে দেবে না। সরকার এসব খাদান নিয়ে কোনও উৎসাহ দেয় না।” তবে ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার কথা তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন ফিরহাদ। কথা বলেছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিমের সঙ্গে।
তবে এদিন সরাসরি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় ফিরহাদকে। তিনি বলেন, “হয়তো পর্যাপ্ত পুলিশ নেই তাই এ ঘটনা ঘটল সকালে। আরও পুলিশ বাড়াতে হবে। সেটাই আমি বলেছি। জাভেদ শামিমের সঙ্গে কথা বললাম। আমি পুলিশকে বলেছি এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। যাঁরা সমাজবিরোধী তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। কে আমার কে তোমার সরকার এটা দেখবে না। সরকার পুরোপুরি মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে। আইনত যাতে বালি তোলা যায় তার ব্যবস্থা করবে। আমি সকালে এডিজি আইন-শৃ্ঙ্খলাকে ফোন করেছিলাম। আমি সকালে বোমার আওয়াজ পেয়েছিলাম। আমি বলেছি দ্রুত আরও পুলিশ মোতায়েন করুন। যাঁরা অন্যায় করেছে তাঁদের গ্রেফতার করুন। একজনের জীবন চলে গিয়েছে। কে কার লোক আমরা দেখব না। অপরাধী অপরাধীই। যাঁরা আইন হাতে নেয় তাঁরা কারও লোক নয়।” –