পনের জন্য গৃহবধূকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ নভেম্বর৷৷ আবারো পনের দায়ে এক গৃহবধূ তার ১১ মাসের পুত্র সন্তানকে রেখে চির নিদ্রায় নিদ্রিত হল৷ ঘটনা পশ্চিম চন্দ্রপুর এর ১ নং ওয়ার্ডে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ এব্যাপারে মামলা গ্রহণ করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ দুই বছর আগে উত্তর হুরুয়ার ৪ নং ওয়ার্ডের শফিক মিয়ার কন্যা সঞ্জিতা হকের বিয়ে হয়েছিল পশ্চিম চন্দ্রপুরের ১নং ওয়ার্ডের আব্দুল সাত্তারের ছেলে আসকর আলীর৷ তাদের এগারো মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে৷ মেয়ের বাবার কাছ থেকে কিছুদিন পর পরই টাকা আনার জন্য আসকর তার স্ত্রী সঞ্জীতার ওপর অত্যাচার  চালাত বলে অভিযোগ৷ বেশ কয়েকবার সঞ্চিতার বাবা শফিক মিয়া তাকে টাকা পাঠিয়েছেন বলে জানান৷ ইদানিং মেয়ের জামাই গাড়ি কিনবে বলে মেয়ের উপর অত্যাচার বাড়িয়ে তুলে৷  মেয়ের সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে মেয়ের বাবা টাকা দেবে  বলে স্বীকার করে৷ তবে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানায়৷ কিন্তু অত্যাচার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শারীরিক এবং মানসিক উভয় অত্যাচার চলে সঞ্চিতার ওপর৷ শফিক আলী জানান গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলতে থাকে৷ তার মেয়েকে নাকি কেরোসিন দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়৷ অবশেষে সঞ্জিতাকে মেরে কৃত্রিমভাবে গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়৷ এই ঘটনা নিয়ে শফিক আলী সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন এবং মেয়ের জামাইয়ের উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন৷ এদিকে ২৭ বছরের জামাই আস্কর আলী জানায় সে গতকাল রাতে  নিমন্ত্রণ থেকে এসে দরজা খুলে দেখে তার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ সে স্ত্রীকে নামিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি এবং থানায় খবরকে৷ রাত আড়াইটার পর যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তখন বাড়িতে সঞ্জীতার স্বামী, ননদ, শ্বশুর ,শাশুড়ি সবাই  ছিল৷ পুলিশ আসকর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় তদন্তক্রমে মামলা গৃহীত হবে এবং সঠিক বিচারের পথ ধরে মামলা এগিয়ে যাবে৷ মাত্র ২২ বছর বয়সে ১১ মাসের পুত্র সন্তান রেখে সঞ্জিতার এই মৃত্যুকে এলাকাবাসী বা তার বাবার বাড়ির লোকজন কেউই মেনে নিতে পারছে না৷ এলাকা জুড়ে এক স্তব্ধতা বিরাজ করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *