মৌচাক – ২ (আ্যারন সুমিত)
পুলিশ – ২ (জুয়েল, বিক্রম)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ নভেম্বর।। হারছেও না, জিতছেও না, তিন ম্যাচে পুলিশের একই অবস্থা। প্রথম ম্যাচে স্পোর্টস স্কুল, তো দ্বিতীয় ম্যাচে নবোদয়। আজ, বুধবার তৃতীয় ম্যাচে পুলিশ ফের মৌচাকে আটকালো। লীগ ফুটবল টুর্নামেন্টে পরপর তিন ম্যাচে ড্র করে পয়েন্টের ভাগ মানেই অনেকটা পিছিয়ে পড়ার সামিল। আজকের ম্যাচেও পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ক্লাব এক সময় ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় ধরে রাখতে পারেনি। নরসিংগড়ের পঞ্চায়েত গ্রাউন্ডে টিএফএ আয়োজিত বি-ডিভিশন লিগ ফুটবলের পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ। খেলা পুলিশ এসি বনাম মৌচাক ক্লাবের মধ্যে। খেলার ১৫ মিনিটের মাথায় অ্যারন রিয়াং-এর গোলে মৌচাক ক্লাব ১-০ তে লিড নেয়। পরবর্তী সময়ে প্রচন্ড রক্ষণাত্মক খেলে পুরো প্রথমার্ধে যেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলে, তেমনি আর দ্বিতীয় গোলেরও সুযোগ পায়নি। প্রথমার্ধে মৌচাক ১-০তে লিভ নিয়েই বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই পুলিশ এসি-র খেলোয়াড়রা সুযোগ সন্ধানে ব্যস্ত হয়, গোলটি পরিশোধ করার লক্ষ্যে। খেলার ৫৬ মিনিটের মাথায় জুয়েল দেববর্মা পুলিশের পক্ষে গোলটি শোধ করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। এবার চলে দু’দলের মধ্যে পরস্পর বিরোধী লড়াই। অনেকটা শেষ দিকে খেলার ৮২ মিনিটের মাথায় এবার পুলিশের বিক্রম দেববর্মা একটি গোল করে ২-১এ লিড এনে দেয়। একদিকে শেষ বাশীর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে, অপরদিকে আক্রমণ ভাগে গুরুত্ব কমিয়ে রক্ষণভাগে নজর বেশি দেয়। পক্ষান্তরে, ঢিল পড়া মৌচাক থেকে বেরিয়ে আসা মৌমাছিদের মতো খেলোয়াররাও যেন তেড়ে-ফুরে আক্রমণ রচনা করে। শেষ মুহূর্তে ঠিক এক মিনিট আগে মৌচাকের সুমিত ধানুক একটি গোল করে পুনরায় খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। পরবর্তী সময়ে পঞ্চম গোলের সন্ধান আর কেউ পায়নি। শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র-তে নিষ্পত্তি হয়েছে। দু দল এক-এক করে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছে। তিন ম্যাচের শেষে পুলিশের পয়েন্ট তিন। অপরদিকে মৌচাক তিন ম্যাচের শেষে ৪ পয়েন্ট পেয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ শীর্ষে অবস্থান করছে। খেলায় অসদাচরনের দায়ে রেফারি পুলিশ এসি-র সৌরভ সূত্রধরকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি আদিত্য দেববর্মা, খোকন সাহা, পল্লব চক্রবর্তী ও পিন্টু চাকমা। দিনের খেলা: বিকেল তিনটায়, নরসিংগড়ে পঞ্চায়েত মাঠে নাইন বুলেটস বনাম ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল।