তেলিয়ামুড়ার মহারানীতে বন্য হাতির তান্ডব, ব্যাপক ক্ষতি বাড়ি ঘর ও ফসলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ নভেম্বর৷৷ আবারো বন্য হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এক কৃষক পরিবার৷ ঘটনা তেলিয়ামুরা লক্ষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারানীর কপালীটিলা এলাকায়৷  বন্য  হাতি র তাণ্ডব কিছুতে থামাতে পারছে না বন কর্মীরা৷ সোমবার রাতে বন্যদাতাল হাতি তান্ডব চালায় লক্সমিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মহারানীপুরের কপালিটিলা এলাকায়৷ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মনোরঞ্জন মজুমদার নামে এক কৃষক৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার রাতে বন্যহাতি কপালিটিলা গ্রামে আসে৷ বন্যহাতি গ্রামে প্রবেশ করে মনোঞ্জর মজুমদারের বাড়িতে ছুটে যায়৷ওই সময় মনোরঞ্জন মজুমদার বাড়িতে ছিলেন না৷ বাড়ি লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচিতে মনোরঞ্জন মজুমদার সহ গ্রামের অন্যান্য মানুষজনরা ছুটে আসে মনোরঞ্জন মজুমদারের বাড়িতে৷ এদিকে বন্য হাতি মনোরঞ্জন মজুমদারের কয়েকটি কলাগাছ সহ একটি  ঘর ভাঙচুর করে৷ এদিকে বন্যহাতি ভাঙচুর চালিয়ে জঙ্গলমুখী হওয়ার সময় তেলিয়ামুড়ার বন কর্মী এবং ভলেন্টিয়ার টিমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয় খবর পেয়ে৷ বনকর্মীরা বন্য হাতি প্রত্যক্ষ ও করে জঙ্গলে চলে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে মনোরঞ্জন মজুমদার খবর পায় বনকর্মীরা এসেছে৷ তিনি বনকর্মীদের বন্য হাতির দ্বারা তাণ্ডব লীলার খবর জানান এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি পরিদর্শন করার জন্য৷ কিন্তু কোন বন কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি পরিদর্শন করার জন্য যেতে অনীহা প্রকাশ করে৷ ওই সময় উপস্থিত জনতার চাপে পড়ে বনকর্মীরা মনোরঞ্জন মজুমদারের বাড়িতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি পরিদর্শন করেন৷ এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মনোরঞ্জন মজুমদার অভিযোগ করে জানান,, বন্য হাতির দ্বারা নিত্যদিন রাতে তাণ্ডব লীলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বনদপ্তর থেকে কোন সাহায্য সহায়তা পাওয়া যায় না ৷ যদিও এ কপালিটিলা গ্রামটি কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে বিবেচিত৷ কিন্তু ওই গ্রামের কৃষকরা বর্তমানে বন্য হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার৷ আর এটা মূলত বন কর্মীদেরও অজানার কথা নয়৷