করিমগঞ্জ (অসম), ৩১ অক্টোবর (হি.স.) : মেঘালয়ের রাজধানী শিলঙে গত ২৮ অক্টোবর বাঙালি সহ অউপজাতিদের ওপর প্রাণঘাতী গণহামলাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি থমথমে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সাক্ষাৎ করেন মেঘালয়ের পুলিশপ্রধান ডা. লাজ্জারাম বিষ্ণোয়ের সঙ্গে। তাঁর হাতে এক স্মারকপত্র তুলে দিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান বিধায়ক কনলাক্ষ।
গত শুক্রবার শিলঙে ফেডারেশন অফ খাসি জয়ন্তিয়া অ্যান্ড গারো পিপল (এফকেজেজিপি)-এর ব্যানারে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রতিবাদী মিছিলকারীদের কর্তৃক সংগঠিত হিংসা ও মারপিটের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বাঙালিপ্রধান বরাক উপত্যকায়। সেদিন প্রতিবাদকারীদের হামলায় বহু অউপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ, পুলিশের গাড়ি, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোটরবাইক ভাঙচুর হয়েছে। তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন বরাক উপত্যকার অনেকে ওইদিন সংগঠিত ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং বাংলাভাষী সংগঠন হামলার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, নিরীহ মানুষের ওপর, বিশেষ করে অউপজাতিদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক ঘটনাটি বিভিন্ন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাবলির ধারাবাহিকতা, যা সময় সময় বিভিন্ন সংগঠনের নামে সংগঠিত হয়। অসমিয়া, বাঙালি, পাঞ্জাবি, মাড়োয়ারি, বিহারি সহ অনেক অউপজাতি মানুষ মেঘালয়ে কাজ করতে এবং তাঁদের জীবিকার জন্য বসবাস করেন। কিন্তু তাঁরা চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটান। বিভিন্ন সময় অকারণে তাঁরা হিংসাত্মক ঘটনার স্বীকার হয়ে থাকেন।
স্মারকপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নিরপরাধ অউপজাতি নাগরিকদের ওপর হামলার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক মাধ্যমেও ঘটনার ভিডিওগুলি ছড়িয়ে পড়েছে। যার দরুন প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। যাতে মেঘালয়ের নির্দোষ অউপজাতি মানুষদের ওপর এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।