নাহরলগুন, ২৫ অক্টোবর (হি.স.) : অরুণাচল প্ৰদেশে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্ৰায় ৭০০টি দোকান। ঘটনা ঘটনার সূত্রপাত আজ মঙ্গলবার ভোররাত প্রায় সাড়ে তিনটা নাগাদ নাহরলগুন শহরের এক দৈনিক বাজারে সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার পেয়ে নাহরলগুন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কয়েকটি ইঞ্জিন নিয়ে দমকল বাহিনী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। দমকল বাহিনীর অক্লান্ত চেষ্টায় প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইত্যবসরে কমপক্ষে ৭০০টি দোকানঘর পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বহু লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফায়ার ব্রিগেডের দুটি ইঞ্জিন বিকল থাকায় পরিষেবা দিতে পারেনি। এছাড়া আরও কয়েকটি ইঞ্জিনে জল ছিল না। তাই স্থানীয় আশপাশ এলাকার বহু দূর থেকে হুজপাইপ দিয়ে জল আনতে গিয়ে বিলম্ব হয়েছে দমকল বাহিনীর। তাঁদের আরও অভিযোগ, ফায়ার ব্রিগেড স্টেশনটি মাত্র ১০ মিটার দূরে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিরর দরুন গোটা বাজারই পুড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্ৰতি রাজ্য সরকার এই দৈনিক বাজারের দোকানদারদের ২৫ অক্টোবরের (২০২২) মধ্যে জমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে এবং সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তাই স্থানীয়দের অভিযোগ, আজ আগুন লাগিয়ে দোকানগুলি পুড়িয়ে জমি খালি করতে সরকারেরই কোনও কৌশল হতে পারে।
এদিকে, বাজারে অলঙ্কারের দোকান এবং কয়েকটি পরম্পরাগত পোশাক-দোকান মালিক মহিলারা আগুনে তাদের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় শোকে বাগরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার ব্রিগেড বিভাগের গাফলতিকে দায়ী করে বলেছেন, একটি বিখ্যাত দৈনিক বাজারকে তারা রক্ষা করতে পারেনি, এটাই আফশোস।
অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক টেকি কাসো স্থানীয়দের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে হিন্দুস্থান সমাচারকে বলেন, ‘আমি এই মার্কেটের চেয়ারম্যান। সরকার শুধুমাত্র বাজারে বিদ্যমান দোকান মালিকদের জন্য একটি গ্রাউন্ড প্লাস টু বিল্ডিং তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাই সরকার তাঁদের একটি নতুন জায়গায় যেতে বলেছিল। নির্মাণকার্য শেষ হলে তাঁদের আবার এখানে দোকানঘর বরাদ্দ করা হবে, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।’ ফায়ার ব্রিগেডের ইঞ্জিনে জল নেই বলে স্থানীয়রা যা দাবি করছেন সে সম্পর্কে বিধায়ক বলেন, ‘বাজারের মধ্যেই জল ছিল। তবু এই অভিযোগের তদন্ত করবে সরকার।’।