কলকাতা, ১৮ অক্টোবর (হি. স.) : টেট মামলায় বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে যে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তা বজায় থাকবে।
তবে এই রক্ষা কবচে মানিকবাবুর ইডির হেফাজতে কোনও প্রভাব এখনই পড়বে না। ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যে আবেদন করেছিলেন, তার শুনানি আপাতত স্থগিতই রাখল আদালত।
শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গত ১০ অক্টোবর মানিকবাবুকে রাতভর জেরা করার পর গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার আগে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। যার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন না।
ইডির এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী মুকুল রোহতগী। তিনি বলেন, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছে মানিকবাবুকে। সিবিআইকে বলা হয়েছে, তারা গ্রেফতার করতে পারবে না মানিকবাবুকে। তার পরও কেন ইডি গ্রেফতার করল বিধায়ককে? মুকুল রোহতগি এ-ও বলেন যে, মামলাটির দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করুক শীর্ষ আদালত। যদিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ তখন জানিয়ে দেয়, পরের সপ্তাহের শুরুতে মামলাটি শুনবে আদালত। তার আগে পর্যন্ত মানিকবাবুকে ইডির হেফাজতেই থাকতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থের বাড়িতে তল্লাশির সময়েই ইডি গিয়েছিল মানিকবাবুর বাড়িতেও। তখনই জারি হয় ‘লুক আউট নোটিস’। তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিকবাবুকে গ্রেফতারও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। শীর্ষ আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিলেও তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। কিন্তু গত ১০ অক্টোবর মানিকবাবুকে গ্রেফতার করে ইডি।