নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ অক্টোবর৷৷ কৈলাসহরের ডলুগাঁও বাজারের মহাদেব মন্দিরের উল্টো দিকের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে৷ শুধু তাই নয়, প্রতিদিন রাতের বেলায় নেশাখোররা মদের বোতল রাস্তার মধ্যে ফেলে দেওয়ায় রাস্তার উপর প্রচুর মদের বোতল এবং নোংরা আবর্জনার স্তূপ জমছে৷ কিন্তু সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না৷ এছাড়াও রাস্তার পাশের ড্রেন নিয়মিত ভাবে পরিস্কার না করার ফলে ড্রেনে জল জমে রয়েছে৷ ড্রেনের জল নিষ্কাশনের জন্যও কোনো ধরনের ব্যবস্থা না করার ফলে মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে৷ এত কিছুর পরও গ্রামের মানুষরা কয়েকবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের জানানোর পরও কোনো ভুমিকা নেওয়া হচ্ছে না বলে গ্রামবাসীরা জানান৷
উল্লেখ্য, কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত চার নং এবং ছয় নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী জায়গায় ডলুগাঁও বাজারের মহাদেব মন্দিরের উল্টো দিকের রাস্তাটি নিয়ে গ্রামবাসীরা সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেন৷ গ্রামবাসীরা জানান যে, বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ড এবং ছয় নং ওয়ার্ডের পঁচানববই ভাগ মানুষই বিষনুপ্রিয়া মুনীপুরী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস৷ গ্রামের এই রাস্তাটির উপর প্রায় দেড়শো পরিবারের মানুষ নির্ভরশীল এবং এই দেড়শো পরিবারের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র এই ইট সলিং রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার ফলে রাস্তার অধিকাংশ জায়গার ইট রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা চুরি করে তোলে নিয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে রাস্তার অধিকাংশ জায়গাই ভেংগে গেছে৷ এবং রাস্তায় প্রচুর কাঁদা জমেছে, যার ফলে রাস্তার উপর দিয়ে গ্রামবাসীরা চলাফেরা করতে পারছে না৷ এরউপর মদের বোতল এবং নোংরা আবর্জনার স্তূপ তো রয়েইছে৷ এছাড়া বৃষ্টি হলে তো আর বলেই লাভ নেই৷ এছাড়াও গ্রামবাসীরা প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন যে, আগামী কিছু দিন পরেই বিষনুপ্রিয়া মুনীপুরী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব ’রাস পূর্ণিমা’৷ এই গ্রামে মনুপুরীদের সবচেয়ে বড় মন্ডপ রয়েছে৷ মন্ডপেই রাস পূর্ণিমা হবে৷ কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হবে৷ এই মান্ডপে কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র এই রাস্তাটির অবস্থা বেহাল হয়ে রয়েছে৷ সংস্কারের কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেওয়াতে মুনীপুরী সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে প্রচন্ড চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ গ্রামবাসীরা আরও জানান যে, স্থানীয় বিধায়ক তপন চক্রবর্তী উনার বিধায়ক ফান্ড থেকে বিধায়ক তপন চক্রবর্তী চৌদ্দ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য৷ কিন্তু বিধায়ক ফান্ডের টাকা দিয়ে এই রাস্তার কাজ করাতেও তালবাহানা করছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ প্রশাসন৷ তবে রাস পূর্ণিমার পূর্বে যদি এই রাস্তার কাজ না করা হয় তাহলে এলাকায় এই রাস্তার জন্য যেকোনো মুহুর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা৷
2022-10-13