ঝাড়খন্ড-১১৪/৬
ত্রিপুরা-৪০/৮
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ অক্টোবর।। মুখ থুবড়ে পড়লো ত্রিপুরা। উদ্বোধনী ম্যাচেই। ঝাড়খন্ডের বিরুদ্ধে। অনূর্ধ্ব-১৯ বালিকাদের টি-২০ ক্রিকেটে। চন্ডীগড়ের সি এ পি মাঠে শনিবার হয় ম্যাচটি। অনভিজ্ঞতাই পরাজয়ের অন্যতম কারন হিসাবে বেরিয়ে আসলো। টি-২০ ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয় তার অভিজ্ঞতাই নেই ত্রিপুরার ক্রিকেটারদের, যা বোঝা গেলো ম্যাচে। রান তোলার থেকে উইকেটে পড়ে থাকার উপরই বেশী জোর দেন ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা। আর সঙ্গে রয়েছে ব্যাটসম্যানদের চূড়ানত ব্যর্থতা। ত্রিপুরা পরাজিত হয় ৭৪ রানে। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে ঝাড়খন্ডের অধিনায়ক প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ঝাড়খন্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান করে। ঝাড়খন্ডের ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান খুশবো কুমারি ঝড়ো ব্যাট করে দলকে ১০০ রানের গন্ডি পার করাতে মূখ্য ভূমিকা নেন। খুশবো ১৪ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ রান করেন। এছাড়া দলের পক্ষে পুষ্পা কুমারী ২৮ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২,দলনায়িকা কুমারি এস সবিতা ২৬ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ এবং ওপেনার আলি ৩৭ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে প্রীয়া সূত্রধর (২/২২) এবং দলনায়িকা অম্বেষা দাস (২/৩৮) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার ট্রেডিশন অব্যহত রাখলেন ত্রিপুরার ব্যাটসম্যানরা। ত্রিপুরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪০ রান করতে সক্ষম হয়।প্রস্তুতি ম্যাচের পর এদিনও ব্যাট হাতে কিছুটা ভরষা ত্রিপুরা দলকে দিলেন অনামিকা দাস। অনামিকা ২২ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন। এছাড়া ওপেনার জুয়েল ভোয়াল করেন ৮ রান। আর কেউ রান করতে পারেননি ত্রিপুরার পক্ষে। ঝাড়খন্ডের পক্ষে নেহা কুমারি সাপু (৪/৬) সফল বোলার। আজ ত্রিপুরার দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ অরুনাচল প্রদেশ।