দুর্গাপুর, ২০ সেপ্টেম্বর (হি. স.): ভর সন্ধ্যায় দুর্গাপুর শিল্পশহরে তথ্যপ্রযুক্তির তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। তরুণীকে করা গাড়ির চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে, দুর্গাপুর পলাশডিহা সংলগ্ন আইটি পার্ক এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়াল শিল্পশহরজুড়ে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ধৃত গাড়ির চালকের নাম রোহিত শর্মা, দুর্গাপুর মায়বাজারের বাসিন্দা। মঙ্গলবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। ঘটনায় জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের রাজ্য সরকারের ওয়েবেল আইটি পার্কের সামনে থেকে এক আইটি কর্মী তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই শহরের সমস্ত রাস্তার ওপর কড়া নাকা চেকিং শুরু করে কমিশনারেট পুলিশ। কিন্তু কড়া নাকা চেকিংয়ের জেরে বিপাকে পড়ে অপহরণকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কে আ্টোসাঁটো নাকা চেকিং শুরু করা হয়। পাশাপাশি সড়কের ওপর সিসিটিভি র ফুটেজে কড়া নজরদারি শুরু করা হয়। অপহরনকারীরা প্রথমে বর্ধমানের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, মুচিপাড়া চেকপোষ্টে তল্লাশী দেখে ইউ -টার্ন নিয়ে আসানসোলের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু, ফরিদপুরের কাছে আবারও নাকা চেকিং মুখে পড়ে। বেগতিক বুঝে সেখানে মেয়েটিকে নামিয়ে চম্পট দেয় অপহরণকারীরা। ঘন্টাখানেকর মধ্যে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হয় অপহৃত তরুণী । এবং গাড়ির চালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে অপহৃত তরুণী দুর্গাপুর ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লীর বাসিন্দা। তিনি আইটি হ্যাবের কর্মী। ঘটনায় উদ্ধার হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। প্রশ্ন, তরুণীকে অপহরণের কারন কি? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল। এসিপি দুর্গাপুর তথাগত পাণ্ডে বলেন, “যুবতীকে জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় গাড়ির চালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও চারজন ঘটনায় জড়িত। তাদেরও খোঁজ চলছে। ধৃতকে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”