নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : এবার সীমান্ত সংঘাতে জড়াল একসময়ের সোভিয়েতভুক্ত দুই প্রতিবেশী দেশ কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান।
এই লড়াইয়ে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৭ জন। জনগণকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই সীমান্ত সংঘাত শুরুর বিষয়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান, উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার ভোরে জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী বাতকেন অঞ্চলের হাসপাতালে ২৪ মরদেহ পৌঁছিয়েছে।
গত সপ্তাহের প্রথমদিকে শুরু হওয়া এই সীমান্ত সংঘাত ট্যাংক, কামান ও রকেট লঞ্চারের ব্যবহারে বড় আকারের লড়াইয়ে পরিণত হয়।
তাজিক বাহিনী রকেট দিয়ে কিরগিজ শহর বাটকেনে আঘাত হানে।
কিরগিজস্তানের জরুরি মন্ত্রণালয় বলেছে, লড়াইয়ের স্থান থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মধ্য এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এমন সীমান্ত লড়াইয়ের কারণ কী তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে শুক্রবার যুদ্ধবিরতির একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং দিনের শেষেই আবার আর্টিলারি গোলাবর্ষণ শুরু হয়।
যদিও দুই দেশের বর্ডার গার্ড প্রধানরা শুক্রবার মধ্যরাতে মিলিত হন এবং শত্রুতা অবসানে সহায়তা করার জন্য একটি যৌথ মনিটরিং গ্রুপ তৈরি করতে সম্মত হন। এ বৈঠক লড়াইয়ে কোনও প্রভাব পড়েছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
তবে শুক্রবার কিরগিজ বর্ডার সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, তাজিক দিক থেকে কিরগিজ পক্ষের অবস্থানে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু এলাকায় তীব্র যুদ্ধ চলছে। কিরগিজ বাহিনী তাজিক হামলা প্রতিহত করছে।
এদিকে তাজিকিস্তানের একটি সরকারি নিউজ পোর্টাল দেশটির বর্ডার সার্ভিসের বরাতে বলেছে, কিরগিজ বাহিনী তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে এবং তিনটি সীমান্ত গ্রামে গুলি চালিয়েছে।