গুয়াহাটি, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : প্রতিমাসেই সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ে, তাই বিদ্যুৎ মাশুল বাড়ার ব্যাপারটা বড় বিষয় নয়, আজ রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীদের এই মন্তব্য করে ক্ষান্ত করার চেষ্টা করেছেন সংসদীয় পরিক্রমা, তথ্য ও জনসংযোগ, জলসম্পদ এবং সামাজিক ন্যায় দফতরের মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা।
আজ বিধানসভায় বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধী কংগ্রেস বিধায়করা শোরগোল তুললে সদনের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। অস্বাভাবিক হারে আচমকা বিদ্যুতের মাশুল কেন বাড়ানো হয়েছে, তা জানাতে সরকারকে চাপে ফেলছিলেন বিরোধীরা।
তাঁদের বক্তব্য, এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায়ও ঝড় উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, গত এবং চলতি মাসে সর্বকালীন রেকর্ড ভঙ্গ করে প্ৰায় তিনগুণ বেশি এসেছে বিদ্যুতের বিল। নতুন ডিজিটাল স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের পরই বিদ্যুতের মাশুল অতিরিক্ত হারে বেড়েছে বলে সোশাল মিডিয়ায় দেদার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আজ বিধানসভাকে উত্তাল করে তুলেন কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধীরা।
উত্তপ্ত সদনকে শান্ত করতে গিয়ে তথ্য ও জনসংযোগ, জলসম্পদ এবং সামাজিক ন্যায় দফতরের মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা দাঁড়িয়ে বলে বসেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের প্ৰতিমাসেই বেতন বাড়ে। প্রতিমাসে দুশো থেকে তিনশো টাকা করে বাড়ে বেতন। তাই বিদ্যুৎ মাশুল বাড়ার বিষয়টি তেমন বড় ব্যাপার নয়। নিয়মমাফিক মাশুল বাড়বেই। বেশি বাড়িলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
মন্ত্রীর এই যুক্তি শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বিরোধীরা। পরে অন্য বিদ্যুৎ সহ অন্য বিষয়ের সদুত্তর না পেয়ে কংগ্রেস বিধায়করা ওয়াকআউট করেন।
এদিকে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি সম্পৰ্কে আলোচনা করতে আজ বিকেলে বিভাগীয় মন্ত্ৰী নন্দিতা গারলোসার সঙ্গে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।