নয়াদিল্লি, ২১ আগস্ট ( হি.স.) : দুর্নীতি ইস্যুতে দিল্লি সরকারকে আক্রমণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বলেছে, আবগারি নীতি ‘কেলেঙ্কারি’র মূল স্তম্ভ হলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল সরকারকে প্রশ্ন করেছে যে আবগারি নীতি যদি সঠিক ছিল তবে কেন তা প্রত্যাহার করা হল।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া রবিবার দলের সদর দফতরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আম আদমি পার্টি (আপ) বলছে যে ২০২৪ সালের নির্বাচন হবে মোদী বনাম কেজরিওয়াল, কিন্তু আমরা সবাই জানি উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়া কী হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি গোটা দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, ওষুধ নিশ্চিত করা থেকে হাসপাতালের ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছিল। কেজরিওয়ালকে সে সময় ওষুধ, শয্যা ও অক্সিজেনের ব্যবস্থার দিকে নজর না দিয়ে, সেই দুর্নীতিগ্রস্ত ,সরকারের কলম আবগারি নীতিতে সই করতে নিয়োজিত ছিল।
ভাটিয়া আরও বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উচিত জনগণের কাছে জবাব দেওয়া। কেজরিওয়াল প্রাথমিকভাবে দুর্নীতি করেছেন যা উদ্বেগজনক। কোভিড মহামারীর সময় দিল্লিতে যদি মদ পাওয়া না যেত, কিন্তু কেজরিওয়াল সরকারের এর সমর্থন পাওয়া দরকার ছিল।
তিনি বলেন, আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির শিকড় দুর্নীতিগ্রস্ত কেজরিওয়ালের দরজায়, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনও দুর্নীতিবাজকে রেহাই দেওয়া হবে না। ভাটিয়া আরও বলেন, দুর্নীতির গাঁট খোলার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাতকড়া আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
বিজেপি মুখপাত্র বলেন, দিল্লি এবং পঞ্জাব সহ দুটি রাজ্যে আপ-র সরকার রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে দুই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীই কারাগারে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বলছে, সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ কেউ থাকলে তা হল মণীশ সিসোদিয়া এবং আম আদমি পার্টি। আজ ভারতের জনগণ বলছে যে ‘আপ’ নয় ‘পাপ’, দুর্নীতিবাজদের বাপ(পিতা) এবং জনতার জন্য অভিশাপ।
তিনি বলেন, আজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল মডেল মানে- অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতির গ্যারান্টি আইএসআই মার্কের গ্যারান্টির চেয়েও বড়। দিল্লি এবং পঞ্জাব সহ দুটি রাজ্যে আপ সরকার রয়েছে, উভয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার ১০০ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্থ।