গুয়াহাটি, ২০ আগস্ট (হি.স.) : সম্প্রতিককালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সময় সময় বিভিন্ন প্রত্যাহ্বানের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পার্সেল থেকে উপার্জনের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী বৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পূর্ববর্তী বর্ষের তুলনায় ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পার্সেল ট্রাফিক থেকে উপার্জনের বৃদ্ধি ঘটেছে ৭৫.৮২ শতাংশ। পূর্ববর্তী বর্ষের একই সময়ের ২২.৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়সীমায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৪০ কোটি টাকা পার্সেল আয় করেছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে এই তথ্য দিয়ে জানান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিডিইউ) টিমের নিরলস প্রচেষ্টা নতুন ধারার ট্রাফিক ধরতে সাহায্য করেছে এবং পার্সেল আয় উৎপন্ন করেছে। নিউ জলপাইগুড়ি ও রাঙাপানি রেলওয়ে স্টেশন থেকে নামকাম ও ফাতুহা পর্যন্ত মোট ১৬১টি ভ্যানে পানীয় সামগ্রী বুক করা হয়েছিল। বিডিইউ-এর প্রচেষ্টায় পুনরায় আজারা থেকে যোরহাট রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ১২টি ভ্যানে খাদ্য সামগ্রী বুক করা হয়েছিল। ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৫টি কিষাণ রেল ট্রেন পরিচালনা করা হয়েছিল, যা রাজস্ব সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান পালন করেছে।
তিনি জানান, পার্সেল ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পার্সেল লোডিঙের জন্য ২২টি পার্সেল ভ্যান (ভিপি) এবং সাতটি সিটিং কাম লাগেজ রেক/ভ্যান (এসএলআর)-এর লিজিং চালু করা হয়েছে। ভাস্কো-দা-গামা-আজারা-ভাস্কো-দা-গামা, রয়াপুরম-নিউ গুয়াহাটি-রয়াপুরম ও আজারা-করামবেলি-আজারা সার্কিটে তিনটি লিজের পিসিইটি সহ পার্সেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এ সমস্ত পরিষেবা ব্যবসায়ীদের ব্যাপকভাবে উপকৃত করার পাশাপাশি তাঁদের পণ্যসামগ্রীর জন্য বিস্তৃত বাজার উপলব্ধ করতে সহায় করছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ১৮টি স্থানে পার্সেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়ে সব্যসাচিবাবু জানান, বর্ধিত ব্যবহারিক-অনুকূল বৈশিষ্ট্য সহ কম্পিউটারাইজড পার্সেল অথবা লাগেজ বুকিং সিস্টেম ব্যবসায়ী ও ট্রেডারদের নিজেদের পণ্যসামগ্রী দ্রুত, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত পদ্ধতিতে গন্তব্যস্থলে পরিবহণ করার ক্ষেত্রে সহায় করছে।
রেলের দ্বারা পণ্যসামগ্রী পরিবহণ করাটা স্থলপথের তুলনায় সাশ্রয়ী ও দ্রুত একটি পদ্ধতি এবং এটি পরিবহণের একটি সবচেয়ে পরিবেশ অনুকূল পদ্ধতি। পণ্য ও পার্সেল ব্যবসার জন্য সিঙ্গল উইন্ডো সলিউশন, নিরাপদ ও দ্রুত পদ্ধতিতে রেলের মাধ্যমে পরিবহণের ক্ষেত্রে সহজ ব্যবস্থা প্রদান করে, বলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।