কালাইন (অসম), ১৮ আগস্ট (হি.স.) : কা্ছাড় জেলার অন্তর্গত কাটিগড়ার সীমান্তবর্তী এলাকার গুমড়া, পাইকান, সরসপুর, কালাইন অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ইদানীং গরু পাচারকারী মাফিয়া সিন্ডিক্যাটের তৎপরতা বেড়েছে। গরু ব্যবসায়ী মহলের এক সূত্র জানিয়েছে, প্রতি রাতেই গরু বোঝাই ট্রাক ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাটিগড়া, কালাইন, গুমড়া, দিগরখাল, মালিডহর, মেঘালয়ের উমকিয়াং হয়ে জঙ্গলাকীর্ণ ডনা সীমান্ত হয়ে অনায়াসে বাংলাদেশে পাচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে মাফিয়া সিন্ডিক্যাট। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারীর নাম পুলিশের কাছে এসেছে।
পাইকানের সাবির লস্কর নামের এক ব্যক্তিকে বুধবার গুমড়া পুলিশ আটক করেছিল। কিন্তু কালাইন থানার লকআপে তাকে রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তাকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জনৈক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, বিষয়টি পুলিশের অন্দরমহলে অসন্তোষ ও কানাঘোঁষা চলছে।
এদিকে গরু পাচারচক্রের বড়সড় এই সিন্ডিক্যাটে বেশ কয়েকটি নাম চর্চিত হচ্ছে। এমন চর্চায় সামনে আসা নামগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহার উদ্দিন, সিপন, বাবলু, ইমদাদ, সজিম, সাব্বির, জুয়েল, কালা মিঞা সহ আরও কয়েকজন। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে ওই নামধারী গরু পাচার চক্রের পাণ্ডাদের বিরুদ্ধে কালাইন, গুমড়া ও কাটিগড়া থানায় একাধিক অপরাধজনক মামলা ঝুলন্ত রয়েছে। মাঝেমধ্যে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিএসএফ বাহিনীর কাছাড়-মিজোরাম ফ্রন্টিয়ারের জওয়ানরা ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশে পাচারের পথে গরু-মহিষ বোঝাই ট্রাক আটক করতে সক্ষম হয়। কিন্তু গরু পাচার বন্ধ করতে স্থানীয় পুলিশের তেমন তৎপরতা পরিলক্ষিত না হওয়ায় এলাকার জনমনে নানা প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
কিছুদিন পর পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএসএফ সফল হলেও গরু পাচার চক্রের লাগাম টানতে পুলিশ কেন যথার্থ সফলতা পাচ্ছে না। এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।