ঢাকা, ৩০ জুলাই (হি. স.) : বাংলাদেশেও টাকা পাচার করতেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই খবর সূত্র মারফত। বাংলাদেশেরও বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা তাঁর সাথে কাজ করতেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা গুলিও বেশ নড়ে চড়ে বসেছে বলেই সূত্রের খবর । বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কারা রয়েছেন? পার্থর প্রভাব বাংলাদেশে কতটা রয়েছে? তাঁর জন্য সেখানে কেউ কাজ করতেন কিনা এবং তাঁরা কারা এই সকল বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা কয়েকজনকে তালিকাভুক্ত করেছেন। চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশের বিশিষ্ট এক শিক্ষাবিদকে এবং ওই তালিকায় রয়েছেন শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। এমনকি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক প্রাক্তন সেনাকর্তাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনটাই বলছে সূত্র।
প্রসঙ্গত, ইডির তল্লাশিতে উত্তর চব্বিশ পরগনার বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পাশে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। আর ওই ব্যাগের সূত্র ধরেই টাকাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সংযোগ রয়েছে কি না; সেটা জানার চেষ্টা করছেন। আসানসোলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন অধ্যাপিকার নাম উঠে এসেছে। ওই নারী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলতেন বলেই জানা গেছে। ওই অধ্যাপিকা প্রায়ই বাংলাদেশে আসতেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাই তার হাত ধরে বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সংযোগ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।