ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই।। শুরু হলো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। রাজ্য কাবাডি সংস্থায়। জাতীয় আসরে ভরাডুবির পর রাজ্য সংস্থার সভাপতি বহিস্কার করেন সচিবকে। এনিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সচিব। তিনি প্রশ্ন করেন, সাধারন সভা না ডেকে কীভাবে সভাপতি বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সভাপতিকে কে দিলো? ২১-২৪ জুন হরিয়ানায় অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সিনিয়র কাবাডি প্রতিযোগিতা। তাতে অংশ নেয় ত্রিপুরা। রাজ্য সংস্থার সভাপতি রূপক দেবরায় এক বিবৃতিতে জানান, মাত্র ১ দিনের নোটিশে নির্বাচনী শিবির করেন সচিব হুলো পাল। ফলে রাজ্যের সেরা খেলোয়াড়রা শিবিরে যোগ দিতে পারেনি। দল গঠন করেও আমাকে জানায়নি। রাজ্যদল রওয়ানা হওয়ার আগেরদিন আমাকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিতি হওয়ার জন্য বলেছেন। মাঠে গিয়ে দেখতে পারি যে রকম খেলোয়াড় দরকার ছিলো সিনিয়র আসরের জন্য তার সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই। মাঠে ওয়েট মেশিনও রাখা হয়নি। যে কারনে ৭০-৫ পয়েন্টের ব্যবধানে হারতে হয়েছে ত্রিপুরাকে। সচিব সবকিছু লুকিয়ে করেছে কাজ। এমনকী খেলোয়াড়দের আসা যাওয়ার রেল ভাড়াও আমি দিয়েছি। তারপরও যাকে অধিনায়ক বানানো হয়েছে তার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের থেকে ১০ হাজার টাকা চেয়েছেন সচিব। তাই আগামী ৪ বছরের জন্য রাজ্য সংস্থা থেকে বহিস্কার করা হলো সচিবকে। এনিয়ে রাজ্য সংস্থার সচিব হুলো পাল বলেন, “সাধারন সভা না ডেকে সভাপতি কীভাবে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিল আমাকে। ডাকা হউক সাধারন সভা। ওই সভায় আমি যা বলার বলবো”।