আগরতলা, ২২ জুলাই (হি. স.) : উচ্চ আদালতের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত ত্রিপুরার সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা আপাতত স্থগিত রাখার জন্য ত্রিপুরা হাই কোর্টকে অনুরোধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত ডিসেম্বরে ত্রিপুরা হাই কোর্ট ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে উচ্চ আদালতের বেতন প্রদানে অভ্যন্তরীণ আদেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। ১ জানুয়ারি ২০০৬ থেকে ওই আদেশ কার্যকরে রায় দেওয়া হয়েছিল।
উচ্চ আদালতের আদেশ ছিল জানুয়ারি ২০২২ থেকে কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক বেতন ও বকেয়া তিনটি মাসিক কিস্তিতে প্রদান করা হোক। কিন্ত, ত্রিপুরা সরকার ওই আদেশ কার্যকর করেনি। তাতে, উচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা নিয়েছে। সে মোতাবেক ত্রিপুরার মুখ্য সচিবকে আগামী ২৫ জুলাই স্বয়ং হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করেছে উচ্চ আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হয়েছে।
ত্রিপুরা সরকারের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ ত্রিপুরা হাই কোর্টকে আদালত অবমাননা মামলা আপাতত স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।
ইতিপূর্বে হাইকোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা আবেদনটি গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মোহান্তী এবং বিচারপতি এসজি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি করে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশাবলী বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়ে একটি অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছিল। উচ্চ আদালতের কর্মীদের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল।
ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছিল যে কর্মীদের তাদের বিপরীতের ক্ষেত্রে নির্দেশ অনুসারে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে বলেছিলেন যে হাইকোর্টের নির্দেশগুলি হাইকোর্টের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণকারী পরিষেবা বিধির পরিপন্থী। তিনি আরও বলেছিলেন যে হাইকোর্টের কর্মীরা রাজ্যের কর্মচারীদের সমতুল্য এবং রাজ্য এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুবিধা দেয়নি এবং এইভাবে হাইকোর্টের কর্মীরা একই দাবি করতে পারে না।তিনি হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে রাজ্য বাজেটের উপর বিশাল বোঝার সম্মুখীন হবে বলেও উল্লেখ করেন। বেতন কমিশন বাস্তবায়নে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।