কলম্বো, ১৩ জুলাই (হি.স.): রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালাতেই বিক্ষোভে ফুঁসছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এবার কলম্বোতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর দখলে নিল বিক্ষোভকারীরা। বুধবার দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ঢুকে পড়ে হাজার-হাজার বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
দেশজুড়ে প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে আশ্রয় নিয়েছেন গোতাবায়া। প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়তেই শ্রীলঙ্কায় বুধবার সকাল থেকে আবার নতুন করে জনসাধারণ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতেই, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতিতেই জারি হয়ে গেল জরুরি অবস্থা। আকাশপথে চালানো হচ্ছে নজরদারি।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশের চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে সেনাবাহিনী। গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালাতেই বুধবার সকাল থেকে কলম্বোতে পুনরায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী। রাস্তায় নামে শ্রীলঙ্কায় যুব সমাজ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন সবাই। সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেড়াজাল টপকে অনেকেই ঢুকে পড়েন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। বিক্ষোভকারীরা দখলে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
এদিকে, বুধবার কলম্বোয় মার্কিন দূতাবাসের যে কোনও পরিষেবা বন্ধ রাখা হল। বৃহস্পতিবারও দূতাবাসের পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার এক জাতীয় টিভি চ্যানেলের দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। শ্রীলঙ্কার টিভি চ্যানেল রূপবাহিনী কর্পোরেশনের টেলিকাস্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে কারণে। বিক্ষোভকারীরা যাঁরা দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা করছে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে।