করিমগঞ্জ (অসম), ১৩ জুলাই (হি.স.) : বানভাসিদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ সহ বন্যা পরবর্তী এলাকাগুলির সংস্কারের দাবিতে করিমগঞ্জ জেলার প্রতিটি সার্কল অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সিপিআইএম। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বুধবার করিমগঞ্জ শহরের সেটেলমেন্ট রোডে অবস্থিত সদর সার্কল অফিসেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সিপিআইএম।
এদিন সকাল থেকেই শহরের কালিবাড়ি রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হতে থাকেন। সেখান থেকে বিশাল মিছিল করে সার্কল কার্যালয়ে গিয়ে জড়ো হন তাঁরা। সার্কল কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে আট দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকপত্র সার্কল অফিসারের মাধ্যমে জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়।
স্মারকপত্রে লেখা দাবিগুলি যথাক্রমে বন্যায় সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ঘরগুলির জন্য ৩ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলির জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফিশারির জন্য বিঘা-প্রতি ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ, বানভাসি মানুষের জন্য পরিবার-প্রতি মাসিক ৭,৫০০ টাকা অনুদান দেওয়া, নদীবাঁধ, স্লুইচ গেট, রাস্তা, সেতুগুলি অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাধ্যতামূলকভাবে এমজিএনরেগায় কাজ দেওয়া, অসমের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়ে স্মারকপত্রের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য বন্যা পরবর্তী পুনর্গঠন, সংস্কার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আজ রাজ্যের প্রতিটি সার্কল কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সিপিআইএমের অসম রাজ্য কমিটি। করিমগঞ্জ সদর সার্কল কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক পরিতোষ দাশগুপ্ত, লোকাল কমিটির সম্পাদক অরুণ দত্ত, জেলা সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য কালিপদ নাথ প্রমুখ। বদরপুরে নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য তরুণ গুহ, পার্থ হাজরা, আব্দুল আজিজ প্রমুখ। পাথারকান্দিতে নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য কৃপেশ দাশগুপ্ত, মহীতোষ ভট্টাচার্য, প্রতুল নাথ প্রমুখ। রামকৃষ্ণনগরে নেতৃত্বে ছিলেন রাতাবাড়ি লোকাল কমিটির সম্পাদক বিজিত মুখার্জি, জেলা কমিটির সদস্য নবারুণ নাথ, সোনাচান্দ সিনহা প্রমুখ।